সাতসকালে CBI দফতরে হাজিরা দিলেন IPS জ্ঞানবন্ত সিং, প্রায় আড়াইঘন্টা চলে জিজ্ঞাসাবাদ

  •  সাতসকালে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন জ্ঞানবন্ত সিং 
  • কয়লাপাচারকাণ্ডে এদিন নিজাম প্য়ালেসে হাজিরা দেন তিনি 
  • এদিন তাঁকে প্রায় আড়াইঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে 
  • প্রশাসক হিসেবে কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, জানতে চাওয়া হয়েছে
     

Ritam Talukder | Published : May 4, 2021 7:58 AM IST / Updated: Jun 01 2021, 01:03 PM IST

মঙ্গলবার সাতসকালে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন ডিরেক্টর অব সিকিউরিটি জ্ঞানবন্ত সিং। কয়লাপাচারকাণ্ডে এদিন নিজাম প্য়ালেসে হাজিরা দেন তিনি। তবে সকাল সাড়ে ৬টায় সিবিআই দফতরে এখনও অবধি কেউ হাজিরা দেয়নি বলে অনুমান। যা নজিরবিহীন।

আরও পড়ুন, ফলপ্রকাশের পর BJP-র বহু কার্যকর্তা খুন, হিংসার প্রতিবাদ জানাতে আজই রাজ্যে নাড্ডা 


সূত্রের খবর, রাজ্যের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জ্ঞানবন্ত সিং সোমবারেই সিবিআইয়ের কাছে এই সময় চেয়েছিলেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে সারাদিন ব্য়স্ত থাকার কারনে এদিন সাতসকালেই সিবিআই দফতরে যেতে চেয়েছেন তিনি। এবং তাতে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন তাঁকে প্রায় আড়াইঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রাজ্যে কয়লাপাচার কাণ্ডে একজন পদাধিকারী প্রশাসক হিসেবে কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তিনি এবং বিনয় মিশ্র ও তাঁর ভাই বিকাশ মিশ্রের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ ছিল কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন, ভোট পরবর্তী ইন্দো-বাংলা সীমান্তে বোমাবাজি, প্রাণে বেঁচে থাকার কাতর অনুরোধ BJP-র টাউন সভাপতির 

 

যদিও আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংকে সিবিআই তলব নিয়ে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। কয়লাকাণ্ডে কম জল ঘোলা হয়নি। কয়লাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা।  সেই লালাকে নিয়েও রীতিমত বেগ পেতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। কারণ গ্রেফতার করতে চাইলেও ছিল না উপায়।  লালার রক্ষাকবচ হয়ে একমাত্র দাঁড়িয়েছিল কোর্ট। ল্লেখ্য, খাদান থেকে বেআইনিভাবে কয়লা তুলে পাচারের অভিযোগ লালার বিরুদ্ধে। এই কাজে লালাকে সাহায্য করেছে ইসিএল, নিরাপ্ততা সংস্থা সিআইএসএফ, রেলের উচ্চপদস্থ কর্মীচারীরাও। তার এই কর্মকাণ্ডে  রাজ্য়ের একাধিক প্রভাবশালী ব্য়াক্তিরও যোগ রয়েছে। অভিযোগ, কয়লা পাচারের টাকা তাঁদের কাছে পৌছে দিতেন লালাই। 

আরও পড়ুন, হিংসা থেকে বাদ গেল না খানাকুলও, তৃণমূল কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন 

 

পাচারের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে বিনয় মিশ্র এবং ভাই বিকাশেরও। ইতিমধ্যে বিকাশকে গ্রেফতারও করেছে ইডি। তাঁকে জেরা করে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, কয়লা পাচারের মূল চক্রী লালার ব্যাবসা ছিল প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার। এর মধ্যে প্রভাবশালীদের পিছনেই ৭৩০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডের শিকড়ে পৌছতে এই ঘটনায় জড়িত ব্য়ক্তিদের একটা তালিকা করা হয়েছে। সেই তালিকা ধরেই এগোচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।


 

Share this article
click me!