মমতা-মুকুল থেকে শৈলজা-শুভেন্দু, ভোট গণনায় দেশের নজরকাড়া প্রার্থীদের তালিকা দেখুন

পশ্চিমবঙ্গ, কেলল, অসম, তামিলনাড়ু ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে রবিবার ভোট গণনা। আগামী পাঁচ বছরের জন্য কারা রাজ্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করবে তাই ঠিক হবে ২ মে। চলতি বিধানসভা নির্বাচনের গণনায় যে ১০ জন প্রার্থীর দিকে নজর থাকবে তাই  দেখে নিন এক ঝলকে। সেরা ১০ প্রার্থীর তালিকায় রয়েছে দুই মহিলা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেরলের স্বাস্থ্য মন্ত্রী শৈলজা। তালিকায় রয়েছে নন্দীগ্রামে মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। 
 

Asianet News Bangla | Published : May 1, 2021 5:08 PM IST

পশ্চিমবঙ্গ, কেলল, অসম, তামিলনাড়ু ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে রবিবার ভোট গণনা। আগামী পাঁচ বছরের জন্য কারা রাজ্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করবে তাই ঠিক হবে ২ মে। চলতি বিধানসভা নির্বাচনের গণনায় যে ১০ জন প্রার্থীর দিকে নজর থাকবে তাই  দেখে নিন এক ঝলকে। সেরা ১০ প্রার্থীর তালিকায় রয়েছে দুই মহিলা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেরলের স্বাস্থ্য মন্ত্রী শৈলজা। তালিকায় রয়েছে নন্দীগ্রামে মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- শুধু দেশ বা রাজ্য নয়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হয়েছেন নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। কলকাতার বাইরে থেকে এই প্রথম ভোটে লড়াই করছেন তিনি। তাঁর হারজিতের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে রাজ্যের আগামী দিনের রাজনৈতিক সমীকরণ। বুথ ফেরত সমীক্ষা এখনও স্পষ্ট নয় নন্দীগ্রামের ফলাফল। তাই রবিবার সকাল থেকেই জনগণের চোখ থাকবে নন্দীগ্রামের দিকে। 

শুভেন্দু অধিকারী- নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরই একসময়ের সহযোগী শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির খাতায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই নন্দীগ্রাম তাঁর গড়় হিসেবে পরিচিত। নন্দীগ্রামের হৃদ স্পন্দনের সঙ্গে তিনি পরিচিত। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে তাঁর সাফল্যের ওপরেই নির্ভর করেছে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। তেমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 

মুকুল রায়- সংসদীয় গণতন্ত্রে মমতার ছত্রছায়ায় থেকে তেমন সুবিধে করতে পারেননি। এবার তিনি বিজেপির প্রার্থী। দক্ষ সংগঠক। তৃণমূলে থাকা কালীন প্রধান সৈনিকের তকমা পেয়েছিলেন। ২১এর নির্বাচন মুকুল রায়ের কাছে চ্যালেঞ্জের। কারণ এই নির্বাচনে পরীক্ষা হবে ভোট বাক্সে তিনি কতটা সক্রিয়। 

এমকে স্ট্যালিন- বুথ ফেরত সমীক্ষায় স্ট্যালিনের জয়জয়াকার। অনেকেই বলছেন তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচন এবার স্ট্যালিনের ভোট। বিজেপিকে আটকাতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করলেও তিনি ছিলেন প্রধান মুখ। রাহুল গান্ধী তাঁকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার করেছেন। তাঁর বাবা এম করুণানিধির মৃত্যুর পর এটাই রাজ্যে প্রথম বিধানসভা নির্বাচন। জয়ললিতাও জায়গাও ফাঁকা রয়েছে। রবিবার ভাগ্য পরীক্ষা হবে স্ট্যালিনের। 

টিটিভি ধমকরণ- এআইডেএমকে নেত্রী জয়ললিতার বান্ধবী শশীকলার ভাগ্নে। জয়ললিতার দল থেকে আগেই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সম্প্রতি নতুন দল আম্মা মাক্কাল মুন্নেত্রা কাজগম তৈরি করে ভোট যুদ্ধে সামিল হয়েছেন তিনি। 

ই পালানিস্বামী- জয়ললিতার মৃত্যুর পর প্রবল সংকটকালীন সময় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন তিনি। বর্তমানে বিজেপির হাত ধরেই তালিম রাজনীতিতে নিজের অস্তিত্ত্ব বজায় রাখতে চাইছেন তিনি। 

ই- শ্রীধরন- কেরল রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। মেট্রো ম্যান হিসেবেই জনপ্রিয়। কেরল ভোটে বিজেপির মুখ তিনি। মেট্রো পরিষেবা নিয়ে ভারতের গণপরিবহন ব্যবস্থায় নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন তিনি। বামেদের হারাতে শ্রীধরন কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে তাই এখন দেখার। 

পিনারাই বিজয়ন- নিপা ভাইরাসের পর করোনাভাইরাস - দুটি যুদ্ধ জয় তাঁকে ভোট যুদ্ধে কিছুটা হলেও এগিয়ে রেখেছে। বুথ ফেরত সমীক্ষায় তিনি ক্ষমতায় আসছেন। বিজয়নের জয় বামেদের নতুন করে অক্সিজেন জোগাবে বলে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। 

কে কে শৈলজা- কেরলের স্বাস্থ্য মন্ত্রী। পেশায় তিনি ছিলেন শিক্ষিকা। আম্মা নামেই জনপ্রিয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় তাঁর পরিকল্পনা কেরলকে এগিয়ে রেখেছে বললে খুব একটা ভুল হবে না। বিদেশেও প্রশংসিত তিনি। তাই ভোট যুদ্ধ তাঁর এই সাফল্য কতটা কাজে লাগে তাই এখন দেখার। 

বদরুদ্দিন আজমল- কংগ্রেসের হাত ধরেই তাঁর আল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট আসমের ভোট যুদ্ধে সামিল। যদিও তাঁর দলকে সাম্প্রদায়িক দল বলেই সমালোচনা করেছে বিজেপি। এখন দেখার বদরুদ্দিন আজমল ভোট যুদ্ধে কতটা সাফল্য পান। 

হেমন্ত বিশ্বশর্মা- কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৫ সালে। এবার তিনি অসমে বিজেপির তরুপের তাস। বিজেপির প্রথম সারির মুখ বললেও খুব একটা ভুল হবে না। যদিও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে চলতি নির্বাচনে ৪৮ ঘণ্টার জন্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল বিজেপি। 

Share this article
click me!