ভোটে খরচ হচ্ছে কয়লা পাচারের টাকা, কয়লাকাণ্ডই তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাতিয়ার শুভেন্দু অধিকারীর

  • কয়লাকাণ্ড নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর তোপ 
  • প্রত্যেক প্রার্থীকে দেওয়া হয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা 
  • সেই টাকা এসেছে কয়লা পাচার থেকেই 
  • নন্দীগ্রামে কর্মিসভায় সরব বিজেপি নেতা 
     

Asianet News Bangla | Published : Mar 17, 2021 10:21 AM IST / Updated: Mar 17 2021, 04:56 PM IST

সঞ্জীব দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর-- তৃণমূল কংগ্রেস নিজের দলের প্রত্যেক প্রার্থীকে ২৫ লক্ষ টাকা করে দিয়েছে। সে টাকা এসেছে কয়লা পাচারের অর্থ থেকে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের বয়ালে বুথ কর্মী সম্মেলনের পর তিনি এ কথা বলেন।

 তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেবার পর শুভেন্দু সর্বার্থেই সুর চড়িয়েছেন নিজের সদ্য প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিনয় মিশ্রকে দুবাই থেকে ধরে আনতে হবে। এবং সেখানে থেমে থাকলেই হবে না। শুভেন্দু নিজস্ব রসিক ঢংয়ে বলেন, কান টানলে হবে না, মাথা ধরতে হবে। আসন্ন বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামের চ্যালেঞ্জার বলেন, যাদের ধরা হচ্ছে, তারা ছিল অর্থ সংগ্রাহক মাত্র। শুভেন্দুর বক্তব্য, মূল অর্থ পৌঁছে যেত ‘তথাকথিত শান্তিনিকেতনে’। উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসস্থানের নাম শান্তিনিকেতন। 

এর আগে কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী ও শ্যালিকাকে নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। ওই দুজনকে জেরাও করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শুধু অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা ও শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে জেরা করেই শেষ হয়নি। মেনকার স্বামী অঙ্কুশ অরোরা ও অঙ্কুশের বাবা পঙ্কজ অরোরাও কেন্দ্রীয় সংস্থার রাডারে। 

গত ২২ ফেব্রুয়ারি মেনকা গম্ভীরকে জেরা করার সময়ে তাঁর লন্ডনের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। সে সময়ে মেনকা বলেছিলেন, সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। স্বামী ও শ্বশুরের কথাতে তিনি কিছু কাগজে সই করেছিলেন। 

এদিকে রাজ্য পুলিশের সিআইডি দল কয়লা পাচার কাণ্ডে কয়েকদিন আগেই গ্রেফতার করেছে লালা ওরফে অরূপ মাজির ডান হাত রণধীর সিংকে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার সিআইডির তরফ থেকে এই গ্রেফতারি সম্পর্কিত বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। লালাই কয়লা পাচার কাণ্ডের কিংপিন বলে অভিযোগ। 

কেন্দ্রীয় সংস্থা হিসেবে শুধু সিবিআই নয়, ইডি-ও এই কয়লা দুর্নীতির তদন্ত করছে। লালার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিসও জারি করে রেখেছে সিবিআই। 
 

Share this article
click me!