প্রথম দফা নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু হয়েগেছে। হাতে আর ২৪ ঘণ্টাও সময় নেই। গুরুত্বপূর্ণ এই সময় রাজ্যে আরও বেশি সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, কাঁথি উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র, পটাশপুর, এগরা, রামনগরের মত কয়েকটি কেন্দ্রে বিজেপি অশান্তি তৈরি করার ছক কষছে। ইতিমধ্যেই সেই খবর পেয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দিয়েছে। তারপরেই প্রথম দফা নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয় সেই জন্য রাজ্যে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের দাবি জানিন হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ডেরেক ওব্রায়ন, কাকলি ঘোষদোস্তিদারের স্বাক্ষর রয়েছে এই চিঠিতে। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী তাঁর নির্বাচনী এলাকায় ইতিমধ্যেই আশ্রয় দিয়েছেন। নন্দীগ্রামে বহিরাগত ঢুকছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের চিঠিতে। চিঠিতে ভাঙাবেড়া, চৈতন্যবাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকও চিহ্নিত করা হয়েছে।
শনিবার প্রথম পর্যায়ের রাজ্যে প্রথম দফায় ভোট গ্রহণ। পশ্চিমবঙ্গে ৭৩১ লক্ষেরও বেশি ভোটার ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৯১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্বাধরণ করবে। ভোটকেন্দ্রগুলির মধ্যে মাওবাদী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ৬৮৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ১০,২৮৮ টি ভোট কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ করেছে। তবে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি এলাকার কেন্দ্রীয় বাহিনী অপর্যাপ্ত বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
শহিদ জননী ফিরোজা বিবির মর্যাদা কি এবারও অক্ষুণ্ণ থাকবে? গতবারই বদল হয়েছিল কেন্দ্র ...
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সিআরপিএফ-এর বিরুদ্ধে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালিত করতে চায় বলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী বেশি করে পাঠাচ্ছে। কমিশন বিজেপি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা। আর সেই কারণেই জনসভা থেকে ইভিএম রক্ষার কার দায়িত্ব সাধারণ মানুষকে নিতে হবে বলেও বার্তা দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চেয়ে পাঠানোর ঘটনায় কিছুটা অবাক হয়েছেন রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। আগামিকাল প্রথম দফায় বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ৩০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। ফল প্রকাশ ২ মে।