শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠক কমিশনের। উল্লেখ্য, রাজ্যে লাগাম ছাড়া করোনা সংক্রমণ। উল্লেখ্য, হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পর রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার দুপুর ২ টোয় ডাকা হয়েছে রাজ্যের সর্বদলীয় বৈঠকে কমিশনের তরফে। এদিন প্রত্যেক রাজনৈতিক দল থেকে ১ জন করে যোগ দেবে কমিশনের ডাকা সর্ব দলীয় বৈঠকে। এদিন উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা এবং স্বাস্থ্য সচিবও।
আরও দেখুন, আজ আকাশ আংশিক মেঘলা, পারদ নামলেও হাঁসফাঁস অবস্থা কলকাতায়
রাত পেরোলেই রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোট। বাকি তিন দফার ভোটগ্রহণের নির্ধারিত তারিখ যথাক্রমে - ২২, ২৭ এবং ২৯ এপ্রিল। আর তার আগেই রাজ্যে ভয়াবহ করোনা সংক্রমণ। পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপরও, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের বাকি থাকা তিন দফার নির্বাচন একসঙ্গে একদিনে করার এখন পর্যন্ত কোনও পরিকল্পনা নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, মূল সমস্যাটা নিরাপত্তায়। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ৮ দফায় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তিন দফার ভোটগ্রহণ একসঙ্গে করতে গেলে অন্তত দেড় হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন। এদিকে এই অল্প সময়ের মধ্য়ে এই বিপুল আয়োজন কোনভাবেই সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট ১ হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পঞ্চম দফার ভোটের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে ৮৫৩ কোম্পানি বাহিনীকে। এইভাবে ষষ্ঠ দফার জন্য ৯৫৪, সপ্তম দফার জন্য ৭৯১ এবং অন্তিম দফায় ৭৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার পরিকল্পনা কমিশনের।
আরও দেখুন, Election Live Update-পঞ্চম দফার আগে রাজ্যে শাহ-নাড্ডা, ওদিকে আজই সর্বদলীয় বৈঠক কমিশনের
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পর রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ১৬ এপ্রিল কৌশল নিয়ে সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মূলত সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এরপরেই নির্বাচনের সময়ে কোভিড বিধি মানা হচ্ছে কিনাএ নিয়ে কোর্ট কমিশনের কাছে জবাব চায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এবার সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছে কমিশন।