৩৫০ বছরের শতাব্দী প্রাচীন রথ যাত্রা বন্ধ মুর্শিদাবাদে, নিয়ম মেনে পুজো রাজবাড়িতে

চলতি বছরে করোনা বিধিনিষেধ শিথিল হলেও স্বাস্থ্য বিধির জেরে  সোমবার শতাব্দী ৩৫০ বছরের অধিক লালগোলা রাজ বাড়ির রথের দড়িতে আর টান পড়বে না । অবশ্য নিয়ম মেনেই জৌলুস এর সঙ্গে পূজা পাঠ করা হয় রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে। 
 

Asianet News Bangla | Published : Jul 12, 2021 8:46 AM IST

৩৫০ বছরের শতাব্দী প্রাচীন সম্প্রীতির রথ যাত্রা বন্ধ মুর্শিদাবাদে। তবুও ভাটা নেই জৌলুসে। চলতি বছরে করোনা বিধিনিষেধ শিথিল হলেও স্বাস্থ্য বিধির জেরে  সোমবার শতাব্দী ৩৫০ বছরের অধিক লালগোলা রাজ বাড়ির রথের দড়িতে আর টান পড়বে না ।স্বাভাবিক ভাবেই রথে চড়ে মাসির বাড়ি আর যাওয়া হচ্ছে না জগন্নাথ দেবের ।অবশ্য নিয়ম মেনেই জৌলুস এর সঙ্গে পূজা পাঠ করা হয় রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে। ফলে রথ কে ঘিরে বাসিন্দাদের মধ্যে যে সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি হয় তাতে এবছর  ছন্দ পতন  ঘটে। বিষন্নতা প্রকাশ পায় লালগোলার নাগরিক জীবনে। 

আরও পড়ুন, 'জয় জগন্নাথ', রথযাত্রায় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি

 রাজ পরিবার সুত্রে জানা যায় , পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন  লালগোলার রাজা  মহেশ নারায়ন রায় । অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথে প্রতিষ্ঠা হয় বলে জানা যায় । লালগোলা রাজ পরিবারের কুল দেবতা দধি মানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয় । রথের দিন তাকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয় ,সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা  করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি । রথ উপলক্ষে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে ,মাস খানেক ধরে তাঁবু গড়ে সার্কাস। কিন্তু করোনা  প্রথম ঢেউয়ের পর দ্বিতীয় বারের জন্য এই রথ উপলক্ষে বাতিল করা হল সব আয়োজন। 

আরও পড়ুন, ঘরে বসেই পান এবার পুরীর ভোগ, সৌজন্যে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর, দেখুন ছবিতে-ছবিতে


এই খবর জানিয়ে লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অজয় ঘোষ বলেন , 'লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে । ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু করোনা আবহে ফের দ্বিতীয় বারের জন্য রথ যাত্রা  বাতিল করা হল। তবে রীতি মেনে পুজা পাঠ করা হবে ।' এদিকে রথের দড়িতে টান লাগাতে পারবেন না বলে মন খারাপের কথা শুনিয়েছেন সারজামান শেখ , শহিদ শেখ , ফিরোজ হোসেনরা । তাঁদের দাবি ,'রথকে ঘিরে এলাকার মানুষের মধ্যে যে ভাবের আদান প্রদান গড়ে ওঠে , তাতেই সীমন্তের লালগোলায় আজও সম্প্রীতি অটুট আছে । এছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় রা মেতে ওঠেন।' তবে শুধু লালগোলা নয় জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথের চাকাও ঘুরবে না এবার ,বন্ধ রাখা হচ্ছে নশিপুর রাজ বাড়ির রথও।

Share this article
click me!