বকরি ঈদে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা, মুর্শিদাবাদে ইমাম সঙ্গে বৈঠক প্রশাসনিক আধিকারিকদের

  • রাত পোহালেই বকরি ঈদ
  • ইমামদের সঙ্গে বৈঠক প্রশাসনিক আধিকারিকদের
  • নমাজ ও কুরবানির জন্য করা যাবে না জমায়েত
  • ঘোষণা ইমামদের সংগঠনের

Asianet News Bangla | Published : Jul 31, 2020 6:35 PM IST

রাত পোহালেই ইদুজ্জোহা বা বকরি ঈদ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে সকলে উৎসব পালন করেন, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি প্রশাসনের। মুসলিম অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদের ইমাম নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। প্রশাসনের পরামর্শ মেনে নমাজ পড়ার জন্য জমায়েত না করার নির্দেশ জারি করল ঈদ কমিটি।

করোনা সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণই নেই। বরং যতদিন যাচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যা ততই বাড়ছে। তাহলে কী এবার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হল? সেকথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জুলাই মাস সপ্তাহে দু'দিন করে পুরোদস্তুর লকডাউন চলছে রাজ্যে। ব্য়তিক্রম ঘটবে না অগাস্টেও। স্বাধীনতার প্রাপ্তির মাসে ৯ দিন লকডাউন জারি থাকবে রাজ্যে। নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে তারিখগুলি ঘোষণাও করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঈদের জন্য় আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার অবশ্য সচল থাকছে রাজ্য। তবে অন্য আর পাঁচটি দিন যেমন থাকে, তেমনি বলবৎ থাকবে স্বাস্থ্যবিধি। 

ইমামদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি মসজিদ বা ইদাগার কোনওরকম জমায়েত করা যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ছোট ছোট দলে বিভক্ত নমাজ পড়তে হবে ইসলাম ধর্মালম্বীদের। এমনকী, এক জায়গায় জমায়েত করে দেওয়া যাবে না কুরবানিও। মুর্শিদাবাদের ইমাম সংগঠনের অন্যতম নেতা মৌলানা আব্দুল খাবির জানিয়েছেন, 'আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা জুড়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঈদ পালনের প্রচার করা হচ্ছে । সেক্ষেত্রে ঈদের নামাজ উপলক্ষে কোথাও কোন রকম জমায়েত না করে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে নামাজ আদায়ের কথা বলা হয়েছে।' 

Share this article
click me!