Murshidabad Farmers-নবান্নের নির্দেশে বাড়তি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ঘোষণা

নবান্নের নির্দেশে বড়সড় পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। জেলায় সহায়ক মূল্যের ধান অন্যান্য বারের থেকে বেশি পরিমানে কেনা হবে। 

Parna Sengupta | Published : Nov 9, 2021 2:44 PM IST

উৎসবের রেশ কেটে যেতেই নবান্নের (Nabanna) নির্দেশে বড়সড় পদক্ষেপের (Step) কথা ঘোষণা করল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা প্রশাসন (District Administration)। জেলায় সহায়ক মূল্যের (extra support price) ধান অন্যান্য বারের থেকে বেশি পরিমানে কেনা হবে, শুধু তাই নয় এবার কুইন্ট্যাল পিছু ওই ধান কেনা হবে ৭২ টাকা বেশি দরে। মঙ্গলবার এই খবর চাউড় হতেই এদিন জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র কৃষক থেকে শুরু করে ধান বিক্রেতা সকলের মধ্যে খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে। 

তবে এক শ্রেনীর চাষি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ধানের দাম বাড়ায় ফড়েরাজ আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠবে না তো। এই ব্যাপারে  জেলার ফুড কন্ট্রোলার সুদীপ্ত সামন্ত বলেন, “ধান চাষিদের আর্থিক উন্নতির কথা ভেবে সরকার সহায়ক মূল্যের ধান কেনার পাশাপাশি ধানের দামও বাড়িয়েছেন। ফলে চাষিরা যাতে ধান ক্রয় কেন্দ্রে পৌঁছিয়ে নিজের ধান নিজে বিক্রি করতে পারেন সেদিকেও বিশেষ নজরদারি চালানো হবে।”

গত মরশুমে জেলায় চার লক্ষ পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ মাত্রা স্থির করেছিল রাজ্য সরকার। ওই লক্ষ্য পূরণ হতেই এবার চার লক্ষ বত্রিশ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হবে বলে জানান হয় ।এদিকে সরকার পরিমানে শুধু বেশি ধান ক্রয় করবে তাই নয় কুইন্ট্যাল প্রতি বাড়তি দামও ধার্য করা করেছে। গত বছর ধান কেনা হয়েছিল প্রতি কুইন্ট্যাল ১ হাজার ৮৬৮ টাকা দরে, সেখানে এবার ওই ধান কেনা হবে ১ হাজার ৯৪০ টাকায়। অর্থাৎ কুইন্ট্যাল প্রতি বাড়তি দাম হিসেবে ৭২ টাকা বেশি দেওয়া হবে। 

Global Warming-২০৩০ সালের মধ্যে জলের তলায় ডুববে কলকাতা, তালিকায় বড় বড় শহরের নামও

Virtual Love- 'ভার্চুয়াল' প্রেমে স্কুলছাত্রীর ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল,চরম পরিণতি নাবালিকার

আবার আগের মত চাষি তার ধান ক্রয় কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কুইন্ট্যাল প্রতি ২০ টাকা করেও পাবেন বলে জেলা প্রশাসনিক সুত্রে জানান হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার সহায়ক মূল্যের দাম বৃদ্ধি করার ফলে ফড়ে রাজ আরও বেশি সক্রিয় হবে বলে দাবি করেছেন কিছু কৃষক। এই ব্যাপারে তাদের দাবি, “ধান ক্রয় কেন্দ্রে অর্থাৎ শিবিরে ধান নিয়ে গিয়ে হয়রান হওয়া এবং কুপন পাওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যার কারনে চাষি বাধ্য হয়ে ফড়েদের কাছে তাদের ধান বিক্রি করে দেয়। এতেই ফড়েদের রমরমা হয়।” 

তবে প্রশাসনিক মহলের দাবি সেদিকে কঠোর নজরদারি চলবে ।ধান কেনার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে । জেলায় এবছর প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে । এদিকে সরকারি নিয়ম মেনে একজন কৃষক তার নিজের উৎপাদিত ধান গোটা মরশুমে সহায়ক মুল্যে মোট ৪৫ কুইন্ট্যাল  বিক্রি করতে পারবেন । ধান বিক্রিতে সরকার বাড়টি মুল্য দেওয়ায় মাইনুদ্দিন শেখ, হাবল মন্ডল,আব্দুল লতিফদের মত ধান চাষিরা বেজাই খুশি ।

Share this article
click me!