বাবার জন্য প্রিয় পোশাকটা কিনে এনেছিল ছেলে। ইচ্ছে ছিল পুজোয় এই পোশাকেই পরিবারের সঙ্গে বেরোবেন বাবা। কিন্তু বিধাতার লিখন ছিল অন্য। মণ্ডপ ছেড়ে শ্মশানের পথে গেলেন গাইঘাটার বাসিন্দা কুমারেশবাবু।
বুধবার থেকে হঠাৎ জ্বর গাইঘাটার ধর্মপুর দু'নম্বর পঞ্চায়েতেরের হোড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা কুমারেশ কুন্ডুর। জ্বর কমছে না দেখে বৃহস্পতিবার সকালেই রক্তের নমুনা পাঠানো হয় কলকাতার এক প্যাথলজি সেন্টারে। ঐ দিনই রাত দশটা নাগাদ রিপোর্টে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। যা জানতে পেরে তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের উদ্দেশ্যে। প্রথমে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেল বেড পাওয়া যায়নি সেখানে। পরে কুমারেশবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয় অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে । বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ভর্তি করা হলে শুক্রবার দুপুরেই মৃত্যু হয় কুমারেশবাবুর। তবে মৃতের ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গুর কথার উল্লেখ নেই ।
তবে পরিবারের দাবি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন কুমারেশবাবু ।
এই মৃত্যুর পরই এলাকায় সাফাই ও ডেঙ্গু অভিযানে আরও জোর দেওয়ার দাবি করেছে এলাকার বাসিন্দারা। সপ্তাহে একদিন করে এলাকায় চুন-ব্লিচিং দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ধর্মপুর ২ পঞ্চায়েত প্রধান নীলাদ্রি ঢালি। পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে কম সংখ্য়ক ডাক্তার ও পরিকাঠামো নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি । মৃত কুমারেশবাবুর ছেলে গৌতম কুন্ডু জানান, বাবার জন্য পুজোর সমস্ত কেনাকাটা হয়েছিল । পঞ্চায়েত আরেকটু ভালো ব্যবস্থা নিলে এদিন হয়তো দেখতে হতো না তাঁদের। শনিবার কুমারেশবাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, কুমারেশবাবুর জন্য পুজো উপলক্ষে কেনা প্রিয় পোশাক লাল সালু,ফতুয়া পরিয়ে চলছে বিদায় প্রক্রিয়া।