পুরভোটের আর বেশি দেরি নেই। আস্থা ভোটে জিতে ভাটপাড়া পুরসভায় বোর্ড গড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বোর্ড গঠনে অশান্তি এড়াতে পুরসভার চত্বরে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী।
৩০ ডিসেম্বর বিজেপি পরিচালিত ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেখিয়ে ভোটাভুটি নোটিশ দেন তিনজন তৃণমূল কাউন্সিলর। তার ভিত্তিতে আস্থা ভোট হয় ২ জানুয়ারি। আস্থা ভোটে ১৯-০ ব্যবধানে জিতে পুরসভা পুর্নদখলের কথা ঘোষণা করে দেয় রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু ভোটাভুটিতে অংশ নেননি গেরুয়াশিবিরের কাউন্সিলররা, উল্টে পুরসভায় বেআইনিভাবে আস্থা ভোট করানোর অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। যেদিন ভাটপাড়ায় আস্থা ভোট হয়, সেদিনই অনাস্থা প্রস্তাব ও ভোটাভুটি খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে তৃণমূল। আদালতের নির্দেশে ৭ জানুয়ারি ফের আস্থাভোট হয় ভাটপাড়া পুরসভায় এবং একই ব্যবধানে জেতে রাজ্যের শাসকদলই। তবে সেবারও ভোটাভুটিতে অংশ নেননি পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলররা। পনেরো দিন পর অবশেষে ভাটপাড়া পুরসভায় বোর্ড গড়ল তৃণমূল।
আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে খুন, রাস্তায় মিলল তৃণমূল নেতার রক্তাক্ত দেহ
উল্লেখ্য, ভাটপাড়া পুরসভা তৃণমূলেরই দখলে ছিল। টিকিট না পেয়ে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন খোদ পুরসভার চেয়ারম্যান ও শাসকদলের দাপুটে নেতা অর্জুন সিং। বারাকপুর কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয় তৃণমূলের, শিলাঞ্চলে দলের সংগঠনেও ধস নামে। বিজেপিতে যোগ দেন ভাটপাড়া পুরসভার ২৯ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। গত বছরের জুন মাসে আস্থা ভোটে জিতে পুরসভার দখল নেয় গেরুয়াশিবির। তখন কিন্তু তৃণমূলেই থেকে গিয়েছিলেন অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ চারজন কাউন্সিলর। দলের প্রতি আনুগত্যেরই কি পুরস্কার পেলেন তিনি? তেমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।