রামপুরহাটকাণ্ডে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল। ৭২ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে সাক্ষাত শেষে নিজের দাবিতেই অটল রইলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
রামপুরহাটকাণ্ডে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল (Central Team)। ৭২ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব। উল্লেখ্য, এদিন রামপুরহাটের ঘটনায় বিধানসভায় বিজেপির ওয়াক আউটের সময়েই শাহ-র হস্তক্ষেপ চাইলেন সুকান্ত। শেষ অবধি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে সাক্ষাত শেষে নিজের দাবিতেই অটল রইলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
'৭২ ঘন্টার ঘটনার রিপোর্ট তলব, রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল'-সুকান্ত
রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, প্রয়োজন কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ। এই দাবি নিয়ে মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন তার সঙ্গে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায় অজুন সিংয়েরা।এরপর অমিত শাহ-র সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আসার পরেই সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, ৭২ ঘন্টার ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, বলে দাবি করেন সুকান্ত।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সুকান্ত মজুমদার বলেন, অমিত শাহ আমাদের আশ্বস্থ করেছেন। ৭২ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তারপর যুগ্মসচিব স্তরের আধিকারিকের নের্তৃত্বে কেন্দ্রীয় দল বাংলায় যাবে। বাংলায় এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন, তা খতিয়ে দেখতেই দিল্লি থেকে দল যাবে বাংলায়। তবে সুকান্তর দাবির সমালোচনা করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন, রামপুরহাটকাণ্ডে মুখ্যসচিবের কাছে তথ্য তলব, ভিডিও বার্তায় রাজ্যকে তোপ ধনখড়ের
' উত্তরপ্রদেশে যখন গোলমাল হয়, তখন কি সেখানে কেন্দ্রীয় দল যায়'- পার্থ
রামপুরহাটের ঘটনায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, 'কেরলে, রাজস্থানে, উত্তরপ্রদেশে যখন গোলমাল হয়, তখন কি সেখানে কেন্দ্রীয় দল যায়।' তার কথায়, 'মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নের্তৃত্বে এই পশ্চিমবাংলায় মানুষের শান্তি, সম্প্রীতি বিঘ্নিত করাই আসল উদ্দেশ্য।' উল্লেখ্য, রামপুরহাটকাণ্ডে সিট (SIT) গঠন করে দ্রুত পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। ইতিমধ্যেই গাফিলতির অভিযোগ তুলে রামপুরহাট থানার ওসি , এসডিপিও-কে সরানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।রামপুরহাটে এতজনের মৃত্যু খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। সবরকম প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন কর্তারা। নবান্নের সঙ্গে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্যপুলিশের ডিজিও জরুরী বৈঠক করেছেন। গোটা ঘটনায় রিপোর্ট তলব করা হয়েছে নবান্নের তরফে। এডিজি, সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংহের নের্তৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে।
জাতীয় সড়কের ধারেই হামলার শিকার হন উপপ্রধান
প্রসঙ্গত, নিহত তৃণমূল নেতা বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন নাম ভাদু শেখ। সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বগটুই মোড়ে দাঁড়িয়ে ফোন করছিলেন তিনি। সে সময় দুটি মোটর বাইকে চার দুষ্কৃতী তাকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি বোমা ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। জনবহুল এলাকায় বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে অন্যান্যরা ছুটে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে উপ প্রধানকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই উপ প্রধানের মৃত্যুর আক্রোশে বগটুই গ্রামের পাঁচটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।