রাজ্যে দুই উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর ফের বড় ধাক্কা রাজ্য বিজেপিতে। রবিবার এবার রাজ্য সম্পাদাকের পদ থেকে ইস্তাফা দিয়েছেন গৌরিশঙ্কর ঘোষ।
রাজ্যে দুই উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর ফের বড় ধাক্কা রাজ্য বিজেপিতে। রবিবার এবার রাজ্য সম্পাদাকের পদ থেকে ইস্তাফা দিয়েছেন গৌরিশঙ্কর ঘোষ। পদ ছেড়েছেন দুই রাজ্য কমিটির সদস্যও। মূলত আগেই ভরাডুবি নিয়ে বেসুরো হয়েছিলেন বিজেপির সৌমিত্র খাঁ। আর এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিলেন বিজেপি বিধায়ক গৌরী শঙ্কর ঘোষ। দলের মুর্শিদাবাদ সাংগাঠনিক দক্ষিণ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে পদত্যাগ ঘোষণা করেন তিনি।
রবিবার রাজ্য সম্পাদাকের পদ থেকে ইস্তাফা দিয়েছেন গৌরিশঙ্কর ঘোষ। পদ ছেড়েছেন দুই রাজ্য কমিটির সদস্যও। আর এরপরেই এদিন ফেসবুকে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বলেন, কেন এতগুলি ইস্তফা একসঙ্গে, সেটা রাজ্য বিজেপির খুব গুরুত্ব সহকারে বিশ্লেষণ করা উচিত। আমি যতদূর জানি গৌরিশঙ্করবাবু একজন ভালো সংগঠক। যাদের এতদিন গুরুত্ব দেওয়া হল, তারা সব দল ছেড়ে চলে গিয়েছে। আর যারা এতদিন মাটি কামড়ে পড়ে ছিল, তাঁর ইস্তফা দিচ্ছেন।' মূলত শনিবার রাজ্যে বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন এবং আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। যদিও তা মানতে নারাজ দিলীপ ঘোষ-সহ শীর্ষ নের্তৃত্ব।
উল্লেখ্য, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে আসন ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে দুবাই জিতেছিল বিজেপি। বাবুলের দক্ষতা তাতে অন্যমাত্রা যোগ করেছিল। সুতরাং তৃণমূল যোগদানের পর প্রায় সবার মুখে সেই কলকাতা পুরভোটের থেকেই একটাই প্রশ্ন ছিল, কোন কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবে বাবুল। কিন্তু ভোটের পর ভোট গেলেও বাবুলের প্রার্থী পদের কোনও খবর না পাওয়ায় তোপও দেগেছিল পদ্ম শিবির। তবে যে দুইবারের জয়ী বাবুলকে যে এবার বালিগঞ্জ বিধানসবা উপনির্বাচন থেকে লড়াই নামাবে তৃণমূল, তা বোধয় কেউ ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেনি। তবে শত্রুঘ্ন সিনহা বনাম অগ্নিমিত্রা নিয়ে এবার সবার বুকধুকপুক ছিল গণনার সকালেও। কারণ দুই তরফে শুরুতে গ্রাফ উঠছিল, কিন্তু বেলা পেরোতেই ঘাসফুলে সূর্য মধ্যগগনে যায়।তিনলক্ষের বেশি ভোটে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে শত্রুঘ্ন সিনহা। যা কিনা বিজেপিতে থাকাকালীন বাবুলের রেকর্ডও ব্রেক করেছেন বিহারীবাবু।
আরও পড়ুন, 'কেন এতগুলি ইস্তফা একসঙ্গে', বিজেপির ভরাডুবির পর বিস্ফোরক অনুপম হাজরা
প্রসঙ্গত, শনিবার ভোট গণনার শুরুতেই বালিগঞ্জে ১৩ হাজার ভোটে এগিয়ে যখন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়, তখনই বালিগঞ্জে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইএম পার্থী সায়রা শাহ হালিম। তারপর কংগ্রেস প্রার্থী পেরিয়ে চতুর্থ স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। যদিও পরের দশম রাউন্ডের পরে কংগ্রেসকে টপকে বিজেপি এগিয়ে আসে। তবে সায়রাকে টপকাতে পারেনি বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ।প্রথমবার উপনির্বাচনের দাঁড়িয়ে প্রায় হেভিওয়েট বাবুলের সমানে সমানে একা হাতেই ব্যাটিং করেন বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। তবে এহেন তৃণমূল, বামেদের যুদ্ধে নেহাতই দর্শক বিজেপি। তৃতীয় স্থানে থেকে বিরাটা ব্যবধানে হেরেছে কেয়া ঘোষ।