বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দর্গাপুজোর আর বেশি দেরি নেই। পুজো কমিটির কর্তা ব্যক্তিদের এখন প্রচুর ব্যস্ততা। কোন পুজো কত ভিড় টানবে, কী চমক দেবে তা নিয়ে চলছে জোড় জল্পনা। ব্যস্ততা
পূর্ব বর্ধমানের ২নম্বর শাঁখারীপুকুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির উদ্যোক্তাদের মধ্যেও। এই জেলার নামজাদা পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এই পুজো। এবার তাদের থিম চতুরাশ্রম।
প্রাচীন ভারতের বৈদিক সভ্যতার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্যই ছিল চতুরাশ্রম। জীবনকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছিল, ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বাণপ্রস্থ ও সন্ন্যাস। ব্রহ্মচর্যে বিদ্যাশিক্ষার জন্য গুরুগৃহে যেতে হত ছাত্রদের। বিদ্যাশিক্ষা শেষে সংসার জীবন, যাকে বলা হাত গার্হস্থ্য। তৃতীয় পর্যায় বাণপ্রস্থে সংসার জীবন ছেড়ে গভীর জঙ্গলে ঈশ্বর সাধনায় মগ্ন থাকতে হত। আর সবশেষে ছিল সন্ন্যাস। বৈদিক জীবনের এই চারটি পর্যায়কেই নিজেদের পুজোয় থিমে তুলে ধরবে ২নম্বর শাঁখারীপুকুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব।
বিবেকানন্দ সেবা সংঘ আয়োজিত এই পুজোয় দর্শকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে থাকছে বৈদিক স্তোত্র পাঠ। বৈদিক যুগে কোনও মূর্তি পুজোর প্রচলন ছিল না। তবে সেই সময় মূর্তি পুজো হলে কেমন হত তারই কল্পনায় তৈরি হচ্ছে মূর্তি।