দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরও এখনও বাড়ি ফেরা হল না ১৫ বছরের কিশোরীর। নদীয়ার (Nadia) এই কিশোরী আটকে রয়েছেন বাংলাদেশেরে জেলে।
দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরও এখনও বাড়ি ফেরা হল না ১৫ বছরের কিশোরীর। নদীয়ার (Nadia) এই কিশোরী আটকে রয়েছেন বাংলাদেশেরে জেলে। নানান আইনি জটিলতার জন্য প্রায় সাত মাস ধরে আটকে সে। এবার বিষয়টি নিয়ে কঠোর হল কলকাতা আদালত (High Court)। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা দৃষ্টিপাত করেন বিষয়ে। তিনি বলেন, চার দিনের মধ্যে দেশে ফেরাতে হবে কিশোরীকে। কেন্দ্রকে নির্দেশ দেন তিনি। এই বিষয়টি নিয়ে যেন আর গাফিলতি না হয়, সেদিকে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নদিয়ার কিশোরী মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে (Bangladesh) আটক আছে। গত জুন মাসে সে নদিয়ার কোতোয়ালি থেকে বাংলাদেশে পাচাক হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাচার করা হয় মেয়েটিকে। কোতোয়ালি এলাকায় একটি স্টিলের কারখানায় কাজ করত কয়েক জন বাংলাদেশী যুবক। তাদের মধ্যে একজন মিলন হোসেন। তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক (Love) গড়ে ওঠে কিশোরী মেয়েটির। এরপর মিলন মিথ্যা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় কিশোরীকে। মেয়েটি রাজি হলে মেয়েটিকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিক্রি করে দেওয়া হয় কিশোরীকে।
খবর জানা জানি হতে, এদেশ থেকে বাংলাদেশের পুলিশের (Police) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধায় হয় মেয়েটি। তাকে সেখানেরই একটি হোমে রাখা হয়। সেখানে দেখা দেয় নতুন সমস্যা। হোমে মেয়েটির ওপর শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। মামলাটি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তার পরিবার। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে তাকে ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা দৃষ্টিপাত করেন বিষয়ে। তিনি বলেন, চার দিনের মধ্যে দেশে ফেরাতে হবে কিশোরীকে। কেন্দ্রকে নির্দেশ দেন মেয়েটিকে ফেরানোর ব্যবস্থা করারা জন্য। আইনজীবীদের মতে, বিদেশ মন্ত্রকের গাফিলতির কারণে মেয়েটি এখনও দেশে ফিরতে পারে নি। তবে, কবে সে ফিরবে তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: Corona Updates: ফের বাড়ছে করোনা, ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত ৫৮৮ জন
আরও পড়ুন: হাওড়ায় বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার দম্পতির দেহ, ফেসবুকের কারণে খুন হয়েছে বলে অনুমান
সম্প্রতি, আদালত এই বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছে। মেয়েটিকে দেশে ফেরাতে মঙ্গলবার ১১টা থেকে ৩টের মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকা গেদে চেক পোস্ট দিয়ে মেয়েটিকে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। তবে, শেষ পর্যন্ত মেয়েটি দেশে ফিরতে সক্ষম হয় কি না, এখন সেটাই দেখার। তবে, মেয়েটি ফিরল কি না তা জানার জন্য ফের ৪ জানুয়ারি মামলার শুনানি। এখন দেখার এই প্রচেষ্টা কতটা সফল হয়।