টিকার লাইনে চরম বিশৃঙ্খলা দেখেই অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। বলেছেন বাড়ি গিয়ে টিকার কুপন দিলে তবেই আসবেন টিকাকেন্দ্রে।
আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, করোনাভাইরাসের টিকা নিতে গিয়ে আবারও বিশৃঙ্খলার ঘটনার ঘটল। এবার ঘটনাস্থল বীরভূম। টিকা নিতে আসা মানুষের সংখ্যা এতটাই বেশি ছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত বিশৃঙ্খলা গড়ায় হাতাহাতিতে। পরে এলাকায় থাকা সিভিক ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি প্রতিষেধক যে পরিমাণ মজুত ছিল লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর থেকে কয়েকগুন বেশি। ফলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। দিন কয়েক আগেই টিকাকরণে কেন্দ্রে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। ১৫জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মুরারই ১ নম্বর ব্লকের রাজগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বৃহস্পতিবার ওই কেন্দ্রে ৪০০ জনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এদিন ভোর থেকে শত শত মানুষ ভিড় জমান। লাইনে থেকেই শুরু হয় ঠেলাঠেলি। এরপরেই হাতাহাতি। অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফের ঘোষণা করে চারশো জনের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে না। এরপরেই পুলিশ গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দূর্গাপুজো - দীপাবলি, করোনাকালে কেমন করে কাটাবেন উৎসবের মরসুম, টিপস দিল স্বাস্থ্য় মন্ত্রক
পাকিস্তানের নজর কাশ্মীরে, আফগান মাটিতেই ভারতের বিরুদ্ধে আল কায়দাকে ব্যবহার করার অভিযোগ দিল্লির
স্থানীয় বাসিন্দা বসির শেখ, লাইলা বিবিরা বলেন, “কয়েক দিন থেকেই করোনাভাইরাসের টিকার জন্য ঘুরছি। কেউ কেউ ভোরের দিকে লাইন দিয়েও টিকা পায়নি। এদিনও হাতাহাতির ভয়ে আমরা পালিয়ে যাচ্ছি। আর আসব না। এবার যেদিন বাড়িতে বসে টিকা পাবে সেদিন নেব। কারণ টিকা নিতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। যেভাবে লাইনে মানুষ দাঁড়াচ্ছেন তাতে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বিধি বা কোভিড বিধি কোনটাই মানা হচ্ছে না। প্রশাসনের উচিত বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুপন দিয়ে তাদের নির্দিষ্ট দিনে টিকা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে বলা। কিন্তু প্রশাসনও হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। তাই আর যাব না”।
ভারতীয় মুসলমানদের কড়া সমালোচনা নাসিরুদ্দিনের, তালিবান ইস্যুতে সতর্ক করলেন অভিনেতা
হাসপাতালের চিকিৎসক অভিষেক বিশ্বাস বলেন, “আমরা এদিন ৪০৮ জনকে টিকা দিতে পেরেছি। কারণ আমাদের কাছে তার বেশি প্রতিষেধক মজুত ছিল না। যদিও মানুষের জমায়েত দেখে ব্লক হাসপাতাল থেকে কিছু প্রতিষেধক চেয়ে পাঠিয়ে ছিলাম। কিন্তু সেখানেও প্রতিষেধক পর্যাপ্ত ছিল না। ফলে কিছু মানুষকে ঘুরে যেতে হয়। তবে প্রথম দিকে যারা জমায়েত করেছিলেন ঘোষণার পর তারা ফিরে যান”।