ডিয়ার লটারির বিরুদ্ধে অভিযোগ, টিকিট বিক্রি ও ব্যবসা সম্পূর্ণ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিল বিক্রেতারা

কোম্পানির বিরুদ্ধে একগুচ্ছ বিস্ফোরক অভিযোগ। তারা জানিয়েদিয়েছেন, সমস্যার সমাধান না হলে লটারি বিক্রি করা হবে না। টানা দুই বছর ধরে হচ্ছে এই সমস্যা। আর এই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে জনপ্রিয় ডিয়ার লটারি কোম্পানির বিরুদ্ধে। 

Web Desk - ANB | Published : Oct 11, 2022 3:52 AM IST / Updated: Oct 11 2022, 09:23 AM IST

মালদা,তনুজ জৈন: মালদা জেলার রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের আড়াইডাঙ্গা পুখুরিয়া স্ট্যান্ডের মোড়ে লটারি বিক্রেতারা টিকিট বেচা বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপাশি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা বাসস্ট্যান্ডে সোমবার বিকেলে নাগাল্যান্ড রাজ্যের লটারি টিকিটের ন্যায্য ভর্তুকীর দাবিতে পথ অবরোধ করে নাগাল্যান্ড সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখালেন টিকিট বিক্রেতারা। তাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে ক্রেতারা পুরস্কার পাচ্ছে না। ফলে গ্রাহকদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ। জানা গিয়েছে এই সমস্যা এক দিনের নয়। 

এই কারণেই লটারির টিকিট বিক্রেতাদের ধর্মঘট। লটারি বিক্রি বন্ধ করে দিল তারা। কোম্পানির বিরুদ্ধে একগুচ্ছ বিস্ফোরক অভিযোগ। তারা এও জানিয়েদিয়েছেন, সমস্যার সমাধান না হলে লটারি বিক্রি করা হবে না। টানা দুই বছর ধরে হচ্ছে এই সমস্যা। আর এই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে জনপ্রিয় ডিয়ার লটারি কোম্পানির বিরুদ্ধে। বিক্রেতাদের বক্তব্য, কোম্পানিকে বারবার বললেও হয়নি সুরাহা। এমনকী সঠিক ভাবে কমিশনও মিলছে না। তাই এরকম অবস্থায় ব্যবসা চালানো সম্ভব নয় বলে, টিকিট বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। যদিও এই সমস্যা শুধু সেখানে নয় সারা রাজ্য জুড়েই চলছে এই সমস্যা। ব্যবসায়ীদের মতে কোম্পানি প্রতারণা করছে বারবার। ফলে সমস্যায় পড়ছে বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয় পক্ষই। 

শুধু লটারি বিক্রেতা নয়, লটারির ক্রেতাদেরও একই অভিযোগ। তারাও জানাচ্ছে আগে যে ভাবে পুরস্কার পেতো তারা এখন পাচ্ছে না। যে সব টিকিট বিক্রি হচ্ছে না সেই সমস্ত টিকিটের পুরস্কার খেলে যাচ্ছে। যদিও ডিয়ার লটারি কোম্পানি নিয়ে এই অভিযোগ নতুন নয়। কিছু দিন আগেই এই কোম্পানির বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। লটারি বিক্রেতা বাবলু প্রামানিক বলেন প্রথম পুরস্কার তো দূরের কথা ছোট ছোট পুরস্কার পর্যন্ত খেলছে না। আমরা আমাদের ভাউচার পাচ্ছিনা। কোম্পানি রীতিমতো ঠকাচ্ছে আমাদের। সমাধান না হলে আমরা টিকিট বিক্রি করব না।

আরও পড়ুন- এবার ইডির জালে মানিক ভট্টাচার্য, রাতভর জেরার পর গ্রেফতার প্রাথমিকের প্রাক্তন সভাপতি

আরও পড়ুন- বাঁকুড়ার গুহায় হদিশ মিলল কুঠুরির, কারা তৈরি করল এই কুঠুরি? কী বলছে গবেষকরা?

আরও পড়ুন- বাঁকুড়ার পোড়াপাহাড়ের গায়ে আদিম মানুষের গুহা! ভেতরে হদিশ মিলল কুঠুরিরও

লটারি বিক্রেতা নবকুমার সিং বলেন, আমাদের ভিসি কমিয়ে দিয়েছে। পুরস্কার ঠিক ভাবে দিচ্ছে না। সব জায়গায় একই সমস্যা। গ্রাহকরা আমাদের উপর ক্ষুব্ধ হচ্ছে।" আরও একজন লটারি বিক্রেতা জানান, সংস্থা নিজের মত চলছে। আমরা ভাউচার পাচ্ছিনা, পুরস্কারও পাচ্ছি না।  ধার দেনা করে ব্যবসা চালাতে হচ্ছে।  এইভাবে আমরা ব্যবসা চালাতে পারব না। লটারির গ্রাহক সিন্টু কুমার দাস বলেন, ভাউচারের ব্যাপারে আমরা জানিনা। কিন্তু আমরা আগে যেভাবে পুরস্কার পেতাম এখন পাচ্ছিনা। দুই বছর ধরে এমনি সমস্যা চলছে। লটারির পুরস্কারে কোটি পতি হওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। এই স্বপ্নে বুঁদ হয়ে অনেকেরই দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থা হয়। বিশেষ করে উৎসব মরশুমে আরও বেশি টাকা হাতে পাওয়ার জন্য প্রচুর গ্রাহক টিকিট কাটেন এরপরেই শুরু হয় সমস্যা। বর্তমানে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ। সরকারের উচিত এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা।
 

Share this article
click me!