ব্রাহ্মনী নদীর সেতুর ওপর দিয়ে বইছে জল, করোনাকালে প্রায় বিচ্ছিন্ন কয়েক হাজার মানুষ

  • করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময় প্রবল বৃষ্টি 
  • বীরভূমে জল বাড়ছে কয়েকটি নদীতে 
  • ব্রাহ্মনী নদীতে জল বাড়ায় ডুবে গেছে সেতু 
  • প্রায় থমকে গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের যোগাযোগ 
     

Asianet News Bangla | Published : Jun 16, 2021 1:11 PM IST

জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ব্রহ্মাণী নদীর উপর দেবগ্রামের অস্থায়ী সেতু ভেসে গিয়েছে, প্রায় বিছিন্ন রামপুরহাটের সঙ্গে যোগাযোগ। রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে ভাসল ব্রহ্মাণী নদীর উপর নলহাটির দেবগ্রামের অস্থায়ী সেতু। ব্রাহ্মনী নদীর জলস্তর অচমকাই বেড়ে যাওয়ার সেতুর ওপর দিয়েই প্রবল বেগে জল বইতে শুরু করেছে। করোনাভাইরাসের এই সংক্রমণকালে তাতেই রীতিমত  সমস্যায় পড়েছেন কয়েকটি গ্রামের মানুষ। কারণ রামপুরহাট শহরে সহজে পৌঁছতে ওই অস্থায়ী সেতুই ছিল আসপাশের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের ভরসা। ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক খানাখন্দে ভরে থাকায় মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন না।

কোভিড লকডাউন আর আর্থিক নিষেধজ্ঞা, দুইয়ের চাপে কি নাজেহাল কিম জং উন ...

নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের রাস্তা বলতে দেবগ্রামে ব্রহ্মাণী নদীর উপর অস্থায়ী কংক্রিটের সেতু। ওই রাস্তা দিয়ে খুব সহজেই রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে যেত। কিন্তু গত রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। ডুবে গিয়েছে অস্থায়ী কংক্রিটের সেতু। ফলে প্রয়োজনে রামপুরহাট যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফের ফিয়ে গিয়েছেন অনেকে। কারণ বিকল্প রাস্তা বলতে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থাকলেও তা খানাখন্দে ভরা। প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। মাত্র ১৫ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা। তাই কয়েকটি গ্রামের মানুষ দেবগ্রামের অস্থায়ী সেতু ব্যবহার করতেন।

'সব সম্পত্তি বৈশাখীর নামে লিখে দিয়েছি', ফ্ল্যাট নিয়ে বিবাদের মধ্যেই ঘোষণা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ...
দেবগ্রামের বাসিন্দা ফিরোজা বিবি বলেন, “বাস ট্রেন চলে না। তাই আমরা মেয়ের বাড়ি থেকে এই রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। কিন্তু এখানে এসে দেখি রাস্তা ডুবে গিয়েছে। এখন কি করব বুঝতে পারছি না”। এমন অবস্থা আরও অনেকেরও। তবে প্রযোজনের তাগিদে অনেকেই পায়ে হেঁটেই ডুবে যাওয়া সেতু পারাপার করছেন।

সত্যি কি কোভ্যাক্সিনে রয়েছে বাছুরের সিরাম, জানুন কোভিড টিকা নিয়ে কী বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক . 

রাহুল সিংহ বলেন, “হঠাৎ করতে জলে রাস্তা ডুবে গিয়েছে। ফলে অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করতে পারছে না। অথচ এই রাস্তায় রামপুরহাটের সঙ্গে ৪০ টি গ্রামের যোগাযোগের প্রধান রাস্তা। সরকার নজর দিয়ে এখানে সেতু নির্মাণ না করলে মানুষের দুর্দশার শেষ থাকবে না। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করব অবিলম্বে নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা হোক”।

Share this article
click me!