তৃণমূল কংগ্রেসের দুই প্রথম সারির নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অনুব্রত মণ্ডলকে এবার দুর্গাপুজোয় জেলেই কাটাতে হবে। বুধবারই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। ওই একই দিনে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেছে অনুব্রত মণ্ডলের
তৃণমূল কংগ্রেসের দুই প্রথম সারির নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অনুব্রত মণ্ডলকে এবার দুর্গাপুজোয় জেলেই কাটাতে হবে। বুধবারই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। ওই একই দিনে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেছে অনুব্রত মণ্ডলের। তাঁকে নতুন করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত । পরবর্তী শুনানি আগামী ৫ অক্টোবর। এদিন অবশ্য অনুব্রত মণ্ডল আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময়ই তাঁর সতীর্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খোঁজ খবর নেন।
জেলেই কাটবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো
স্কুল শিক্ষক দুর্নীতিকান্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁর ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল রাশি রাশি টাকা। যা পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর রেখে রেখেদিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন অর্পিতা। যাইহোক, ইডি হেফাজতে নিলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কয়েক দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিআইডি। মুখোমুখি বসিয়ে জেরাও করেছিল স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সুবিরেশ ভট্টাচার্য ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এরপর আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তদন্তকারীদের দাবি জেল থেকে মুক্ত হল প্রমাণ লোপাট করতে পারেন তিনি। কারণ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে প্রভাবশালী হিসেবেই দেখছে তদন্তকারীরা। অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো হিসেবেই পরিচিত নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজো। পুজো কর্মকর্তাদের কথায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতির কোনও প্রভাব পড়বে না পুজোর ওপর। কিন্তু স্থানীয়দের কথায় পুজোর বাজেট গত বছরের তুলনায় অনেকটাই কম। যার অর্থ পার্থর অনুপস্থিতিতে কিছুটা হলেও ফিঁকে হয়ে যাচ্ছে নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজো।
অনুব্রত মণ্ডলের পুজোও কাটবে জেলে
একই অবস্থা গরুপাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের। কারণ বুধবার আসানসোলের বিশেষ আদালত তাঁকেও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। গরু পাচারকাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। আনুব্রতর আইনজীবী জানিয়েছিলেন তাঁর বীরভূমের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। তাঁর মেয়ে একা। পুজোর সমস্ত আয়োজন করা মেয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই অনুব্রত মণ্ডলকে যদি গৃহবন্দি থাকার অনুমতি দেওয়া হয়- সেই দরবারও করেছিলেন। পাশাপাশি বলেছিলেন জেলের খাবার খেতে পারছেন না অনুব্রত। শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু কোনও যুক্তিও ধোপে টেকেনি। কারণ সিবিআই-এর পাল্টা দাবি ছিল অনুব্রত প্রভাবশালী। আর সেই কারণে বাইরে থাকলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। সব মিলিয়েই অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।