পাল শিল্পীদের হাতের কাজ, মালাকারদের চালচিত্রকে এবার কুর্নিশ জানাতে চলেছে বিশ্ব। তবে আর দেরি কেন! কাউন্টডাউন শুরু হোক।
বিরল সম্মানের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো। সব ঠিক থাকলে কলকাতার এই উৎসবের কপালে উঠবে সেরার শিরোপা, স্বয়ং ইউনেস্কোর রাজমুকুট।
হ্যাঁ এটাই সত্যি। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাদেমি থেকে দুর্গাপূজাকেই মনোনীত করে ইউনেস্কোতে পাঠানো হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে ২০২০ সালে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্টেটাস পেতে চলেছে দুর্গা পুজো।
সঙ্গীত নাটক অ্যাকাদেমির ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে লেখা হয়েছে- "দুর্গাপুজো ধর্মের উৎসবকে জনতার উৎসবে পরিণত করে। অজুত মানুষের শৈল্পিক দক্ষতাকে মানুষের সামনে তুলে ধরার সুযোগ তৈরি হয় এই উৎসবে। তৈরি হয় সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন। ...শিল্পের বিভিন্ন শাখায় নিজস্ব অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে দুর্গোৎসব।
কলকাতার দুর্গোৎসব সত্যি অন্য উৎসবের থেকে আলাদা। সাজের প্রতিমা থেকে নয়া ফিউশন প্রতিমা, বনেদী পুজো থেকে থিম পুজো, দুর্গাপুজোয় হাজার সুক্ষ্ম শিল্পনিদর্শনের পসরা নিয়ে হাজির হয়। এর সঙ্গে রয়েছে অতীতের ইতিহাস। গুপ্তিপাড়ার বারোয়ারি পুজো হোক কিংবা পলাশির পতনে শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গোৎসব, ঐতিহাসিকতায়ও দুর্গাপুজো নির্বিকল্প।
প্রসঙ্গ এ যাবৎ ভারতের ১৩টি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে এই মান্যতা দিয়েছে ইউনেস্কো। তার মধ্যে শেষ সংযোজন হিসেবে রয়েছে কুম্ভমেলা ও যোগ। আবার নৌটঙ্কি বা কাওয়ালির মত সাংস্কৃতিক ঘরানার মনোনয়ন বাতিলও হয়েছে। তবে দুর্গাপুজোর ধার ও ভার অন্য সব উৎসবের থেকেই বেশি। সুতরাং পাল শিল্পীদের হাতের কাজ, মালাকারদের চালচিত্রকে এবার কুর্নিশ জানাতে চলেছে বিশ্ব। তবে আর দেরি কেন! কাউন্টডাউন শুরু হোক।