লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মৎস্যজীবি ক্রেডিট কার্ড, কিষান ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি বিষয়ে ভালো করে অবগত করা হয় সকলকে। একই সঙ্গে শিবিরে আসা মানুষদের নথিপত্রও পরীক্ষা করা হয়।
আগামী ২ জানুয়ারি থেকে আবার শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। কিন্তু দুয়ারে সরকার(Duyare Sarkar) শিবিরে গিয়ে যাতে মানুষ হয়রানির শিকার না হন বা কোনও প্রকার সমস্যায় না পড়েন তার জন্য শনিবার সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে গেল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন(Purulia District Administration)। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগেই এদিন পুঞ্চা ব্লকের দামোদরপুর শবর পাড়া গ্রামে আয়োজিত হল প্রাক দুয়ারে সরকার শিবির। এই শিবির থেকেই জেলাশাসক(District Magistrate) রাহুল মজুমদার দুয়ারে সরকার শিবিরের নানান সরকারি সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে জানালেন সাধারণ মানুষকে। লক্ষ্মীর ভান্ডার(Lakshmi Bhandar), স্বাস্থ্যসাথী(Swasthyasathi), জাতিগত শংসাপত্র, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট(Bank Account), মৎস্যজীবি ক্রেডিট কার্ড, কিষান ক্রেডিট কার্ড(Kisan Credit Card) ইত্যাদি বিষয়ে ভালো করে অবগত করা হয় সকলকে। একই সঙ্গে শিবিরে আসা মানুষদের নথিপত্রও পরীক্ষা করা হয়।
আগামীদিনে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এসে যাতে তারা যাতে বিভিন্ন আবেদনপত্র জমা করেন সেই বিষয়ে উৎসাহও প্রদান করেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন মহকুমাশাসক, বিডিও এবং অন্যান্য আধিকারিকেরা। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিলেন জেলাশাসক এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও উত্থান প্রকল্পের মাধ্যমে কি কি সুবিধা ঐ পরিবার গুলি পেতে পারেন সেই বিষয়ে সকলকে বুঝিয়ে দেন। গর্ভবতী মায়েদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা ইত্যাদি বিষয়েও সকলকে সচেতন করেন জেলাশাসক। সি.পি.সি তে গিয়ে সরেজমিনে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনারও তদারকি করেন তিনি।
আরও পড়ুন-কাঁচা বাদাম গেয়ে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ, মাথা ফাটল লিলুয়ার যুবকের
একইসাথে দামোদরপুর শবর পাড়ার দুয়ারে সরকারের প্রস্তুতি শিবির শেষ করেই জেলাশাসক ছুটে যান পুঞ্চা ব্লকের লাকরা অঞ্চলের বদড়া গ্রামের "বাটার ফ্লাই"উদ্যানে। বাটারফ্লাই উদ্যানে ঘুরে দেখেন তিনি। সাথে ছিলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে লাকরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে এই বাটারফ্লাই উদ্যান। এই উদ্যানে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প থেকে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন কর্মসংস্থান। এদিন এই উদ্যান ঘিরে তৈরি হওয়া প্রাকৃতিক পরিবেশকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র এবং দূরদূরান্তের পর্যটকদের আকর্ষণীয় করার জন্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জেলাশাসক এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতির মধ্যে আলোচনাও হয়। এদিকে জেলা শাসকের পরিদর্শন কর্মসূচি ঘিরে এদিন পুরুলিয়া জেলা জুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিল ব্যাপক উন্মাদনা। এখন দেখার দুয়ারে সরকার শিবির শুরু হওয়ার পর কতটা উপকৃত হন জেলার মানুষ।