বড্ড খিদে পেয়েছে, সোজা রেশন ডিলারের বাড়িতে দাঁতাল

  • রেশন ডিলারের বাড়িতে দাঁতালের হানা
  • দরজা ভেঙে মজুত সামগ্রী খাওয়ার চেষ্টা
  • হাতির হানায় আতঙ্কে ঝাড়গ্রামের মানুষ 
  • এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দলমার দাঁতালদের একটি দল

debamoy ghosh | Published : Jul 3, 2019 11:04 AM IST

পেটে খিদে। স্কুল, বাড়ি, ঘরে হানা দিয়েও উদরপূর্তি হয়নি। কারণ সামান্য খোরাকে কি আর হাতির পেট ভরে। তাই সোজা রেশন ডিলারের বাড়িতেই হানা দিল দাঁতাল। তার পরে রেশনের গোডাউনের দরজা ভেঙে চলল চাল, গম খাওয়ার চেষ্টা। 

দাঁতালের অত্যাচারে এভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন ব্লকে। অভিযোগ, প্রায় রোজই বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালাচ্ছে দলমার দাঁতালরা। খাবারের সন্ধানে কখনও স্কুলে হানা দিয়ে মিড ডে মিলের চাল, ডাল খাচ্ছে, আবার কখনও বা গৃহস্থের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে তারা। ঝাড়গ্রাম ব্লকের সাপধরা অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে দিন রাতে হাতিদের একটি দল ঘুরে  বেড়াচ্ছে। স্থানীয় জমির ভুট্টা, লাউ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফসল ধ্বংস করছে তারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে দশ থেকে বারোটি হাতি সাপধরা অঞ্চলের পুকুরিয়া, লকাট, বড়চাঁদাবিলা, বাঘুয়াদাম-সহ বিভিন্ন গ্রামে খাবারের সন্ধানে যখন তখন হানা দিচ্ছে। সোমবার রাতে বড়চাঁদাবিলা গ্রামে রেশন ডিলার উপনন্দ মাহাতোর বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে একটি হাতি। এরপর দরজা ভেঙে মজুত চাল, আটা খাওয়ার চেষ্টা করে সেটি। কিন্তু গ্রামবাসীদের চিৎকার আর তাড়া খেয়ে দলের সঙ্গে মিশে সেটি এলাকা থেকে সরে যায়। 

ঘটনায় আতঙ্কিত রেশন ডিলার উপানন্দ মাহাতো বলেন, 'অল্পের জন্য হাতির হাত থেকে রেশনের সামগ্রী বেঁচে গিয়েছে। ঘরের দরজা আর গোডাউনের দরজা ভাঙলেও গ্রামবাসীদের চেষ্টায় মজুত খাদ্য সামগ্রী খেতে পারেনি। খুবই ভয়ে ভয়ে আছি। যেভাবে হাতি প্রতিদিন গ্রামে ঢুকছে তাতে রেশনের সামগ্রী যে কোনও দিন পুরো নষ্ট করে দিতে পারে। খুবই চিন্তায় রয়েছি। হাতির দলকে গ্রাম থেকে অবিলম্বে সরানো দরকার।' 

বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, হাতি তাড়ানোর সবরকম চেষ্টাই হচ্ছে। তবে জঙ্গলে খাবারের অভাবের কারণেই বার বার হাতির দল লোকালয়ে হানা দিচ্ছে বলে মনে করছেন বনকর্তারা। 

Share this article
click me!