বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডোমজুড়ের লক্ষণপুর তারামা প্রজেক্ট এলাকায় হানা দিয় কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক কর্মীকে।
হলুদ, লঙ্কা, জিরে, ধনে -- সবেতেই দেদার মেশানো হচ্ছিল রং। কাঠ থেকে চালের গুঁড়ো মেশানো হচ্ছিল। বাদ যায়নি ক্ষতিকারক রং। কলকাতার (Kolkata) কাছেই হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড়েই এমনই ভেজাল মশলা কারখানার (Fake Spice Factory) সন্ধান পেল কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (EB)। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের হানায় উদ্ধার বিপুল পরিমাণ ভেজাল মসলা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডোমজুড়ের লক্ষণপুর তারামা প্রজেক্ট এলাকায় হানা দিয় কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক কর্মীকে। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে পোস্তা এলাকা থেকে বেশ কিছু ভেজাল মসলা উদ্ধার করে তদন্তকারী আধিকারিকরা। তারপর থেকেই শুরু হয় তদন্ত। মঙ্গলবার রাজেশ সাউ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেরা করেই জাল মশলা কারখানার সন্ধান পায় গোয়েন্দারা। জানা যায় সন্তোষ গুপ্ত নামে এক ব্যবসায়ী এই ভেজাল মসলা রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছেন। এরপরে এদিন ডোমজুড়ের ওই কারখানায় হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল হলুদ লঙ্কাগুঁড়ো ধনেগুঁড়ো উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, অস্বাস্থ্যকর রং ও রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি করা হতো এই সমস্ত মসলা। পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষায় এই তথ্য তাদের হাতে উঠে এসেছে। এদিন কারখানা থেকে ১২ বস্তা হলুদ ১০ বস্তা গুঁড়োলঙ্কা ১২বস্তা চাল ও ১২বস্তা উড ডাস্ট বা কাঠের গুঁড়ো উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এনফোর্সমন্টের ব্রাঞ্চের সদস্যরা জানিয়েছেন দিন কয়েক আগে বড়বাজারে এক ব্যবসায়ীকে তারা জিজ্ঞাবাদ করেছিলেন। সেখান থেকেই ডোমজুড়ের এই জাল মশলা কারখানার সন্ধান তারা পান। সূত্রের খবর হানা দেওয়ার আগে তদন্তকারী আধিকারিকরা ঘটনাস্থল রেইকি করেন। তারপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাবেলা সদলবলে হানা দেয় কারখানা। হাতেনাতে ধরা পড়ে এক কর্মী। পুলিশের জেরায় ধৃত কর্মীও মশলার সঙ্গে ক্ষতিকারক দ্রব্য মেশানো হত বলেও জানিয়েছে। তবে কারখানার মালিক সন্তোষ গুপ্ত ঘটনার পর থেকেই পলাতক। এই চক্রের সঙ্গে আরও কোন কোন ব্যক্তি জড়িয়ে রয়েছে তারও সন্ধান চলছে বলে পুলিশসূত্রের খবর।
খাবারে ভেজাল, ক্ষতিকারক রং ও রাসায়নিক মেশানো দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী নিজেদের মুনাফার কথা ভেবের খাবারে এজাতীয় ক্ষতিকারণ সামগ্রী মিশিয়ে থাকে। তাদেরই রুখতে মাঝে মাঝেই অভিযান চালায় প্রশাসন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এজাতীয় কার্যকলাপ পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। যা নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। কারণ এজাতীয় ক্ষতিকারক খাবার দিনের পর দিন মানুষ খেলে অসুস্থ হওয়ার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা।
KMC Election 2021: 'তৃণমূলের কাউন্সিলররা অসাধু', ভোট প্রচারে তীব্র সমালোচনা শুভেন্দু অধিকারীর
Deucha Panchami coal mine: দেউচা পাচামি কয়লা খনিতে 'না', সুর চড়ছে আন্দোলনের
Hockey Championship: গ্রাম বাংলায় হকি-আগ্রহ বাড়াতে উদ্যোগী মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, শুরু প্রতিযোগিতা