তড়িঘড়ি উপকূলে ফিরতে গিয়ে ঘটল বিপত্তি। মাঝ-সমুদ্রে বোল্ডারে ধাক্কা লেগে উল্টে গেল মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলার। শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনা ঘটল দিঘার কাছে। বাকিরা কোনওমতে সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারলেও দীর্ঘক্ষণ নিখোঁজ ছিলেন একজন মৎস্যজীবী। শেষপর্যন্ত অবশ্য তাঁকে উদ্ধার করা গিয়েছে।
দিন কয়েক আগে কৃপাময়ী ৪ নামে একটি ট্রলারে চেপে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ১১ জন মৎস্যজীবী। শুক্রবার সকালে যখন দিঘার মোহনা থেকে নন্দীগ্রামের দিকে ফিরছিলেন তাঁরা, তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, একটি ক্যানালের কাছে বোল্ডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ট্রলারটির। আর তাতেই নিয়ন্ত্রণ হারান ট্রলারের চালক। মাঝ-সমুদ্রে উল্টে যায় কৃপাময়ী ৪। সমুদ্রে তলিয়ে যান ১১ জন মৎস্যজীবীই। তবে কোনওমতে সাঁতরে পাড়ে চলে আসেন ১০ জন। কিন্তু নির্মল দাস নামে এক মৎস্যজীবীর খোঁজ মিলছিল না। তাঁর খোঁজে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে সমুদ্রে চলে তল্লাশি। শেষপর্যন্ত ওই মৎস্যজীবীরও খোঁজ মেলে। তাঁকে পাড়ে নিয়ে আসেন উদ্ধারকারীরা।
আরও পড়ুন: ওসি-র মৃত্যু ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য, কোয়ার্টারে মিলল ঝুলন্ত দেহ
উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে ঘুর্ণাবর্তের কারণে গভীর সমুদ্রে মাঝ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমুদ্র থেকে ফেরার চেষ্টা করছিলেন দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রলারের মৎস্যজীবীরা। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটল কীভাবে? মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, দিঘার মোহনার কাছে ওই ক্যানালটি দীর্ঘদিন ধরেই ড্রেজিং করা হয় না। নাব্যতা কম থাকার কারণে বোল্ডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ট্রলারটির। এর আগে গত নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মাঝেই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণার ফ্রেজারগঞ্জে কাছে, চিনাই নদীতে। নিখোঁজ হয়ে যান ন'জন মৎস্যজীবী। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং সুন্দরবন পুলিশ জেলার কর্মী এবং আধিকারিকদের তৎপরতায় সকলেরই দেহ উদ্ধার হয়। খোঁজ মেলে ট্রলারটিও। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ট্রলারডুবির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে দিঘায়।