করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনের তৎপরতায় কোনও খামতি নেই। মানুষকে সচেতন করতে এবার পথে নামলেন লোকশিল্পীরাও। বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে ঘুরে ঘুরে লকডাউনে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ যোগ, কোয়ারেন্টাইনে বর্ধমান মেডিক্যালের চিকিৎসক ও নার্সরা
ওষুধ কিংবা ভ্য়াকসিন এখনও আবিষ্কার হয়নি। ফলে এই রোগের কোনও চিকিৎসাও নেই। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হবে মানুষকেই। করোনাকে বাগে আনতে রাজ্য জুড়ে লকডাউন জারি করেছে প্রশাসন। কিন্তু তাতেও কি আদৌ লাভ হচ্ছে? উল্টে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠছে। এখনও লকডাউন না মেনে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন অনেকেই। ভিড় কমছে না বাজার-হাটেও। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছড়াচ্ছে গুজবও। গান শুনে যদি সাধারণ মানুষের হুঁশ ফেরে! সেই আশাতেই এবার করোনা বিরুদ্ধে যুদ্ধে শামিল হলেন বাঁকুড়ার জেলার লোকশিল্পীরা।
আরও পড়ুন: পিপিই ডাস্টবিনে 'ফেলে দিলেন' চিকিৎসকরা, বিতর্ক তুঙ্গে বীরভূমে
আরও পড়ুন: লকডাউনে 'বিনেপয়সার বাজার', ব্যাগভর্তি সবজি নিয়ে ফিরলেন একশোরও বেশি মানুষ
বাঁকুড়ার মতো পিছিয়ে পড়া জেলায় বাউল বা ঝুমুর গানের জনপ্রিয়তা যথেষ্টই। বছরভর গ্রামে গ্রামে গিয়ে, গান শুনিয়ে মানুষের মনোরঞ্জন করেন লোকশিল্পীরা। তাতে ছেদ পড়েনি লকডাউনেও, স্রেফ চিরাচরিত গানের কথা গিয়েছে বদলে। লোকশিল্পীদের কণ্ঠেও শোনা যাচ্ছে করোনা সচেতনতার বার্তা। শিল্পীরা জানিয়েছেন, জেলাশাসকের অনুমতি নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন তাঁরা।