মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের কন্যাশ্রী প্রকল্পকে ঘিরে রমরমিয়ে চলেছে বেআইনি কারবার। পুরুলিয়ায় কলেজের ক্যান্টিনে ২০ টাকা বিকোচ্ছে ফর্ম! শুধু তাই নয়, কন্যাশ্রী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য যে ক্যান্টিন থেকে টাকা দিয়ে ফর্ম কিনতে হবে, সেকথা আবার ফলাও করে লিখে দেওয়া হয়েছে নোটিশ বোর্ডে। তেমনই দাবি পড়ুয়াদের। কলেজের অধ্যক্ষার সাফাই, কন্যাশ্রী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে ছাত্রীদের সাহায্য করার জন্য় একজন দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে ক্যান্টিনে যে ফর্ম বিক্রি হচ্ছে, তা জানতেন না।
পুরুলিয়া শহরে মহিলাদের একটিমাত্র কলেজ। নিস্তারিনী কলেজ। কলেজে পড়ুয়াদের সংখ্যা প্রায় হাজার চারেক। এখন আর স্কুলেই নয়, কলেজের ছাত্রীদেরও কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পুরুলিয়া নিস্তারিনী কলেজে বেআইনি কারবার ফেঁদে বসেছেন ক্যান্টিনকর্মীরা। স্রেফ খাবার নয়, ২০ টাকা বিনিময়ে কলেজের ক্যান্টিন থেকে কন্য়াশ্রী প্রকল্পের ফর্ম সংগ্রহ করতে হচ্ছে ছাত্রীদের! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানালেন, কলেজে নোটিশ বোর্ডে নাকি লিখে দেওয়া হয়েছে, কন্য়াশ্রী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য ক্যান্টিন থেকেই ২০ দিয়ে ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। কী আর করবেন! বাধ্য হয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফর্ম 'কেনা'র জন্য ক্যান্টিনে ভিড় করছেন পুরুলিয়ার নিস্তারিনী কলেজের ছাত্রীরা। এদিকে কলেজে চত্বরে কীভাবে এমন বেআইনি কারবার চলছে, তা বুঝতে উঠতে পারছেন না অভিভাবকরা।
রাজ্যে পালাবদলের পর স্কুলের গরিব ছাত্রীদের সাহায্য করার জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্পে চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের ছাত্রীদের আর্থিক অনুদান দেয় রাজ্য সরকার। পরবর্তী কালে কলেজের ছাত্রীদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। বাংলার কন্যাশ্রী প্রকল্পের শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘও। এমন একটি প্রকল্পকে কেন্দ্র করে কীভাবে বেআইনি কারবার চলছে পুরুলিয়ার নিস্তারিনী কলেজে? সদুত্তর মেলেনি।