গিনেসে নাম লেখালেন সত্যরূপ, গর্বে মশগুল বাঙালি

মাত্র ৩৫ বছর ৯ মাস বয়েসে  সাতটি পর্বতশৃঙ্গ ও সাতটি আগ্নেয়গিরি জয়ের নজির গড়েন তিনি। সেই কৃতিত্বকেই কুর্ণিশ জানালো গিনেস।
 

arka deb | Published : Apr 20, 2019 11:34 AM IST

ইনহেলার ছিল নিত্যসঙ্গী। যে বয়েসে খেলার মাঠে দাপিয়ে বেড়ায় আপ পাঁচজন, হাঁপানির কারণে ঘরবন্দি হয়েই সে বয়েসটা কেটেছে সত্যরূপের। কিন্তু অদম্য তাগিদে রোজ একটু একটু করে নিষেধের পথ কেটেছেন তিনি। আজ গোটা বিশ্ব কুর্ণিশ করছে তাঁকে।


এবার গিনেসবুকেও নাম লেখালেন সত্যরূপ। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডরেকর্ড সর্বকনিষ্ঠ পর্বতারোহী হিসেবে সাত শৃঙ্গ সাত আগ্নেয়গিরি জয়কে স্বীকৃতি। মঙ্গলবার এই খবর যখন সত্যরূপের কাছে যখন পৌঁছয় তখন তিনি আরও একটি বিশ্বরেকর্ডের থেকে সামান্য দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। উত্তর মেরু অভিযানে রয়েছেন সত্যরূপ। অভিযান শেষ হলেই জুটবে গ্র্যান্ড-স্লাম।


মঙ্গলবার রাতে গিনেসের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ঘোষণা করা হয় সত্যরূপের  স্বীকৃতির কথা। প্রসঙ্গত চলতি বছরেই ১৬ জানুয়ারি সকাল ৬ টা বেজে ২৫ মিনিটে আন্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট সিডসলিতে পা রাখেন সত্যরূপ। এই পর্বতারোহণের মধ্যে দিয়েই অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেন সত্যরূপ। মাত্র ৩৫ বছর ৯ মাস বয়েসে  সাতটি পর্বতশৃঙ্গ ও সাতটি আগ্নেয়গিরি জয়ের নজির গড়েন তিনি। সেই কৃতিত্বকেই কুর্ণিশ জানালো গিনেস।

সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে সত্যরূপের শিষ্য অনুগামীরা। এশিয়ানেট নিউজে পক্ষ থেকে যোগাযোগ কর হয়েছিল সত্যরূপ ঘনিষ্ঠ জ্যেতিষ্ক বিশ্বাসের সঙ্গে। জ্যোতিষ্ক নিজে এখন জোংবি অঞ্চলে ট্রেক করছেন। খবরটা পেতেই লাফিয়ে উঠলেন উচ্ছ্বাসে। জ্যোতিষ্কর কথায়,এখানে এখন মাইনাস এক ডিগ্রি ঠাণ্ডা। তাতেই আমরা কাবু। আর সত্যরূপদা মাইনাস চল্লিশ ডিগ্রিতেও হাসছেন। সত্যরূপদার থেকে সত্যি শিখতে হয় কী ভাবে ধাপে ধাপে উন্নতি করে নিজেই নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়া যায়।"

বহরমপুরের ছেলে সত্যরূপ। ট্রেকিং সম্পর্কে তাঁর কোনও সম্যক ধারণাই ছিল না। শুধু স্বপ্ন দেখাত  চাঁদের পাহাড়ের বর্ণনা। হাঁপানিকে জয় করে লড়াই শুরু ২০০১ সালে। আজও সমান গতিতে পাহাড় ভাঙছেন সত্যরূপ। গর্বে বুক বাঁধছে বাঙালি। 

Share this article
click me!