ইচ্ছে মতো গুলি ছুড়ে মা দুর্গাকে বিদায়, তৃণমূল নেতার পরিবারের রীতি ঘিরে বিতর্ক

  • দুর্গাকে বিদায় জানানোর সময় গান স্যালুট
  • কুলটির নিয়ামতপুরে রায় পরিবারের রীতি
  • ইচ্ছে মতো শূন্য গুলি ছুড়ে বিসর্জন
  • প্রথা ঘিরে উঠছে প্রশ্ন
     

মা দুর্গাকেও এখানে গান স্যালুট দেওয়া হয়। মায়ের নবপত্রিকা বিসর্জনের সময় পরিবাবের সদস্যরা নিজ নিজ বন্দুক বা রিভলবার বের করে মা দুর্গাকে সেলামি দেন। এটাই রীতি পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির নিয়ামতপুরের রায় পরিবারের। রায়রা ছিলেন এলাকার জমিদার। জমিদারি নেই কিন্তু এই অভিনব প্রথা রয়ে গিয়েছে দুর্গা পুজোয়। আর সেই প্রথা ঘিরেই দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্নও উঠছে। কারণ বড় থেকে ছোট, পরিবারের সবাই যেভাবে হাতে বন্দুক নিয়ে ইচ্ছেমতো গুলি ছোড়েন, তাতে অসতর্কতায় যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। এই পরিবারের এক সদস্য আবার শাসক দলের নেতা হওয়ায় বিতর্ক আরও বেড়েছে।

কুলটির বেলরুই গ্রামের রায় পরিবারে বংশপরমস্পরায় এটাই রীতি। নবপত্রিকা বিসর্জনের সময় শূন্যে এলোপাথাড়ি গুলি চালান পরিবারের সদস্যরা।পরিবারের মহিলাদের হাতেও ধরিয়ে দেওয়া হয় বন্দুক। পরিবারের সদস্যদের দাবি, শত বছরের পুরোনো এই রীতি। পরিবারের কাছে থাকা দশ থেকে পনেরোটি আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ফাটানো হলো পুকুরের ধারে। গড়ে ৫০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয় শিবমন্দির পুকুরের ধারে।

Latest Videos

বেলরুই অঞ্চলের রায়েরা ছিলেন প্রথমে কাশীপুরের রাজার নায়েব। তা থেকেই জমিদারি। কয়লা খনির মালিকানা থেকে অর্থ, প্রতিপত্তি। এলাকায় নাম ডাক হয় রায় পরিবারের। ব্রিটিশদের কাছ থেকে জমিদার উপাধি পান বেলরুইয়ের রায়রা। বছরে একবার বন্দুকগুলি বের করা হয়। নবপত্রিকা বিসর্জনের আগে অস্ত্র পুজো হয় মন্দিরে। শান্তির জল ছেঁটানোর প্রক্রিয়া চলে মন্ত্রোচারণের মধ্যে দিয়ে। তার পরেই বন্দুকের গুডুম গুড়ুম আওয়াজে কেঁপে ওঠে এলাকা। 

বন্দুকের ব্যারেল পরিষ্কার করা থেকে সার্ভিসিং, সবই নাকি করা হয় পুজোর আগে থেকে। প্রবীণ থেকে যুবক, গৃহবধূ থেকে শুরু করে পরিবারের ছোটদের হাতেও বন্দুক ধরিয়ে দেওয়া হয়। শূন্যে নল উঁচিয়ে যে যাঁর মতো গুলি ছুড়তে থাকেন। 

আনুমানিক ২০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজো। জমিদারি এখন নেই, কিন্তু জমিদার বাড়ির দালান রয়েছে। রয়েছে জমিদারির মেজাজও। তাই রয়েছে গুলি ছোঁড়ার প্রথা। রায় পরিবারে সদস্য তথা কুলটি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূল নেতা বাচ্চু রায় ১৫ টি বন্দুক বের করার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন চারটি দু' নলা রাইফেল ও একটি রিভলভার থেকে গুলি চালানো হয়েছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি,  এখনও প্রায় কুড়িটি সচল বন্দুক রয়েছে রায়দের পরিবারে। প্রত্যেকটি বন্দুক বৈধ। যদিও বন্দুক থেকে সতর্কতা ছাড়াই শূন্যে গুলি ছোড়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অঘটন ঘটে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। পরিবারের সদস্যদের অবশ্য দাবি, এই প্রথা পালন করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও অঘটন ঘটেনি।

Share this article
click me!

Latest Videos

প্রয়াগে ডুব দিয়ে পবিত্র স্নান সারলেন যোগী আদিত্যনাথ | CM Yogi | Prayagraj | Mahakumbh 2025 |
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury