সচরাচর লঙ্কাকাণ্ডের সঙ্গেই তাদের নাম জড়ায় মানব সমাজ। বাদর থেকেই বাদরামির উৎপত্তি, অথচ এহেন হনুমান গেল টাওয়ারের কলে আটকে। শেষমেশ হনুমানের
ত্রাতা হয়ে দেখা দিলেন দুই মানব সন্তান।
মোবাইল টাওয়ারের তারে আটকে গিয়েছিল হনুমানের লেজ। বিদ্য়ুৎস্পৃষ্ট হয়ে পুড়ে গিয়েছিল লেজের অনেকটা অংশ। সব বুঝেও তারের ফাঁস থেকে বেরোতে পারছিল না অবলা জীব। হনুমান উদ্ধারে দমকল, বন দফতরের কর্মীরা এলেও কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। শেষে হনুমান উদ্ধারে হাত লাগালেন দুই রঙের মিস্ত্রি। ফলও পেলেন হাতে নাতে। কোনওক্রমে মরণের ফাঁস থেকে জীবন পেল হনুমান।
আরও পড়ুন : রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে উত্তপ্ত নরেন্দ্রপুর, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি
বাপি দাস , অতুনু সাহার চেষ্টায় হনুমান প্রাণ ফিরে পাওয়ায় খুশি বারাসাতের কবরখোলা এলাকার মানুষ। সবার মুখেই এক কথা। অবলা জীবকে চোখের সামনে ছটফট করতে দেখলে কার ভালো লাগে। সেকারণে বন দফতর, পুলিশ, দমকলকে খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সবার আগে মোবাইল টাওয়ারের বিদ্যুৎবাহী তারের কাছে গিয়ে মুশকিল আসান করলেন রঙ মিস্ত্রিরাই। পরে অতুনু, বাপিরা জানান, রঙের কাজ করেন বলে এমনিতেই উচু জায়গায় উঠে কাজ করতে হয়। সেকারণে মোবাইল টাওয়ারের উচ্চতায় উঠতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। তবে বিদ্য়ুৎবাহী তার হওয়ায় কাজটায় প্রাণের ঝুঁকি ছিলই। কিন্তু সেসব ভাবলে কী আর জীবন চলে। তাই অবলা প্রাণীকে আটকে থাকতে দেখে আর বসে থাকতে পারিনি।