করোনা আতঙ্কে বন্ধ তারাপীঠের মন্দির, বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে হোটেল ব্যবসায়ীরা

  • করোনার ধাক্কায় বেসামাল হোটেল ব্যবসা
  • পয়লা অগাস্ট থেকে বন্ধ তারাপীঠ মন্দির
  • ভক্তদের আনাগোনা নেই সিদ্ধপীঠে
  • মাথায় হাত হোটেল মালিকদের

Asianet News Bangla | Published : Aug 8, 2020 12:58 PM IST

আশিস মণ্ডল, বীরভূম:  প্রথম ধাপে টানা তিন মাস লকডাউন। মাসখানেক মন্দির খুললেও ফের ১ আগস্ট থেকে বন্ধ তারাপীঠ। ফলে মাথায় হাত পড়েছে স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীদের। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে হোটেল খুলে করোনার আর লকডাউনের ধাক্কায় বিপাকে পড়েছেন সকলেই। কিভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করবেন সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে।

আরও পড়ুন: ' তৃণমূল ছাড়লাম', বিদায়ী কাউন্সিলরের ফেসবুক পোস্টে শোরগোল গুসকরায়

কথায় আছে লজ নগরী তারাপীঠ। কেউ কেউ আবার কংক্রিটের জঙ্গলও বলে তারাপীঠকে। কারণ মা তারাকে সামনে রেখে তারাপীঠ ও রামপুরহাট থানা এলাকার মধ্যে গজিয়ে উঠেছে ছোট বড় মিলে প্রায় পাঁচশো লজ। এই সমস্ত লজের একটি বড় অংশের মালিক বহিরাগত। বেশিরভাগই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে লজ খুলেছেন তারাপীঠে।

করোনা সতর্কতায় তখন টানা লকডাউন চলছে। ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় তারাপীঠ মন্দিরও। নিরুপায় হয়ে কর্মীদের ছাঁটাই করে হোটেলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বেশিরভাগ মালিকই। কেউ কেউ আবার হোটেল পাহারা দেওয়ার জন্য এক বা দু'জন কর্মীকে রেখে দিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত  ২৩ জুন থেকে যখন তারাপীঠ মন্দির ফের খুলল, তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন হোটেল মালিকরা। কিন্তু সেই সুখ বেশিদিন কপালে সইল না! ১ অগাস্ট থেকে করোনা আতঙ্কে ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে তারাপীঠ। এভাবে যদি আরও কিছুদিন চলে, তাহলে হোটেল বিক্রি করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না। তেমনটাই দাবি হোটেল মালিকদের।

আরও পড়ুন: রাস্তায় বেরোলেই কান ধরে ওঠবোস, লকডাউনে শহরে কড়া পুলিশি নজরদারি

তারাপীঠ হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল গিরি বলেন, 'হোটেল ব্যবসা এখন খুব খারাপ অবস্থায় চলছে। কারণ তারাপীঠে মা তারাকে সামনে রেখেই চলে হোটেল ব্যবসা। কিন্তু মন্দির বন্ধ থাকলে মানুষ তারাপীঠে আসবেন কেন!  কবে এই অবস্থার অবসান হবে একমাত্র মা তারাই জানেন।'  সংগঠনের সম্পাদক বিমান চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'অধিকাংশ হোটেল মালিক ব্যাঙ্ক থেকে মোটা টাকা ঋণ নিয়ে হোটেল খুলেছেন। এখন যা পরিস্থিতি চলছে তাতে ঋণের কিস্তি কিভাবে পরিশোধ হবে সেই চিন্তাই দিন গুনছেন অনেকেই। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বহু হোটেল বন্ধ হয়ে যাবে।'

Share this article
click me!