করোনা যুদ্ধে হাজির ধাতব রোবট। কিছু গবেষকের মস্তিস্কের ফসল এই যন্ত্রমানব। আবিষ্কর্তাদের দাবি, করোনা ভাইরাসের মতো মারণ জীবাণুকে ধ্বংস করতে পারে এই রোবট।
আমাদের শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ান, ১৮ রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রীকে চিঠি মমতার
আশঙ্কার মাঝেই আশার কিরণ। বিশ্বের সঙ্গে করোনো আতঙ্ক গ্রাস করেছে রাজ্য়বাসীকে। এমন সময় এই ভাইরাস মারার মেশিন তৈরি করলেন রাজ্য়েরই কিছু গবেষক। কিছু রিসার্চ স্কলারের দাবি, এই ধাতব রোবট দিয়েই রাস্তার করোনা ভাইরাস মারা সম্ভব । গবেষকরা জানিয়েছেন, মূলত, রোবটের মুখ থেকে নির্গত জলই কেড়ে নেবে করোনার জীবন।
মাস্কের জন্য় হাহাকার বেলেঘাটা আইডিতে, লকডাউনে রাস্তায় দাগ কাটছেন মুখ্য়মন্ত্রী
আইআইটি খড়গপুর , আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ও বেশকিছু খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা মিলে তৈরি করেছে এই যন্ত্রদানব। বানাবার জায়গা হিসেবে তাঁরা বেছে নিয়েছেন হুগলি জেলায় দিল্লি রোডের ধারে একটি বন্ধ কারখানা । যন্ত্র বানাতে তাদের সাহায্য় করেছেন কারখানার মালিক। প্রশ্ন জাগে কী এই যন্ত্র দানব। কীভাবে কাজ করে এই রোবট। সাদা চোখে দেখলে মনে হবে সেরকম কিছু নয় । একটি সাত ফিট উচ্চ ধাতব যন্ত্রমানব আকারে তৈরি । যার মুখের ভেতরে একটি ফ্যান । পিছনের দিকে ইনভার্টার-এর কিছু ব্যাটারি । ধাতব মূর্তির ভেতরে জলের ট্যাংক রয়েছে। সেই জল ব্যাটারির মাধ্যমে হাইলি চার্জড হচ্ছে। ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল জুড়ে স্প্রে হচ্ছে সেই জল। য়ার জরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভাইরাস। মনে হতেই পারে জল যদি ভাাইরাস মারতে পারে তাহলে তো অদিক চাপে জল রাস্তায় দিলেই মরে যাবে করোনা ভাইরাস।
করোনায় মৃত্যু সন্দেহে আটকে গেল সৎকার, দমদমের মতো পরিস্থিতি মেদিনীপুরে.
কিন্তু বিষয়টা তেমন নয়, এই হাইলি চার্জ ওয়াটাার পদ্ধিতেত ড্রপলেট ছড়িয়ে ভাইরাস নষ্ট করে দেয়। এই জলটা আয়নাইজড। যন্ত্রটার নাম দেওয়া হয়েছে এয়ারলেস মাইনাস করোনা । যার মাথা থেকে বের হয়েছে সেই বিজ্ঞানীর নাম দেবায়ন সাহা । স্ট্য়ান্ডফোর্ড ইউনিভারসিটির গবেষক দেবায়ন। তাকে এই পরিকল্পনায় সাহায্য় করেছেন গবেষক শশীরঞ্জন। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভারসিটির গবেষক শশীরঞ্জন। দেবায়ন আইআইটির প্রাক্তনী । তাঁর দাবি, রাজ্য়ের জায়গায় জায়গায় এইভাবে যদি স্প্রে করা যায়, তাহলে পার্টিক্যালস গুলি নিস্ক্রিয় হয়ে যাবে । তাই আমি মিডিয়ার মাধ্যমে রাজ্যে ও কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন করছি যে,হাসপাতালে, বাজারে , রাজপথে যদি আমরা এই যন্ত্র মানবের মাধ্যমে এলাকায় স্প্রে করতে পারি তাহলে অনেক জীবাণু নষ্ট হবে ।
আমাদের কোনও পেটেন্ট লাগবে না , আমরা এটা জনস্বার্থে তৈরি করেছি । অলরেডি ভিয়েতনামে এই ভাবে অনেক শহরে স্প্রে করা হয়েছে তাতে সুফল পাওয়া গেছে । আমরা চাই, পাবলিক প্লেস এই ভাবে স্যানিটাইজ করতে । সরকার যদি সাহায্য করেন আমরা আরও বিভিন্ন সাইজের এই যন্ত্র বানিয়ে দিতে পারি । মাত্র 5 দিনে এই যন্ত্র তৈরি হয়েছে । আমরা কোনও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে এই যন্ত্রের ব্যবহার চাইছি না । আমরা চাই এই চরম সংকটে মানু্ষের পাশে থাকতে । সরকার যদি আমাদের যন্ত্রের পরীক্ষা নিতে চান আমরা সর্বদা প্রস্তুত।