নবগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তিনটি জুটমিল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করল শিল্প দপ্তর। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে একটি সিল্কহাব তৈরি করা হবে জানানো হয়।
ঘুচতে চলেছ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বুক থেকে শিল্প বিহীন জেলার তকমা।সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) মুর্শিদাবাদ সফরে এসে শিল্পায়নের বার্তা দেওয়ার পরই নড়েচড়ে বসলো রাজ্য শিল্প দফতর। শিল্প দপ্তর এর সবুজ সংকেতে মুর্শিদাবাদে শিল্প গড়তে জমি কেনার জন্য উদ্যোগপতিরা কোটেশন জমা দেওয়া শুরু করলেন। আর তাতেই আগামী দিনে জেলার অর্থনৈতিক মানচিত্রের আমূল পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নবগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তিনটি জুটমিল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করল শিল্প দপ্তর। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে একটি সিল্কহাব তৈরি করা হবে জানানো হয়। তারফলে এই বিধানসভা কেন্দ্রেই কয়েক হাজার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পলশণ্ডা মোড়ে দু’টি জুটমিল তৈরি হবে। অন্যটি সুকি মোড়ে গড়ে উঠবে। নবগ্রামে তৈরি হবে সিল্ক হাব। নবগ্রামের বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, শিল্প স্থাপনের জন্য উদ্যোগপতিরা ইতিমধ্যেই জমি কিনতে শুরু করলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ন্যায্য দামে তাঁদেরকে জমি বিক্রি করেছেন। আগামী দিনে এই বিধানসভা কেন্দ্রে আরও বিনিয়োগ হতে চলেছে। এখানে জমি পেতে সমস্যা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই জুটমিল তৈরি করার জন্য উদ্যোগপতিরা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আধিকারিকরা তাঁদের সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তাতে তাঁরা আশ্বস্ত হয়েছেন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নবগ্রাম ব্লকে একটি ফুডপার্ক তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার জন্য জমি চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। জেলার জঙ্গিপুরে একটি ফুড পার্ক রয়েছে। শিল্প টানার জন্য সেখানে জমির দাম কয়েকদিন আগেই কমানো হয়েছে। নবগ্রাম ব্লকে ফুড পার্ক তৈরি হলে উদ্যোগপতিরা আরও বেশি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাবেন বলে দাবি আধিকারিকদের।
এই ব্লকের পাশ দিয়ে জাতীয় সড়ক চলে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সঙ্গেও নবগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত। এখান থেকে পণ্য খুব সহজেই উত্তরবঙ্গে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এক আধিকারিক বলেন, নবগ্রামের তিনটি জুটমিল তৈরির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। নবান্ন থেকেও সবুজ সংকেত দিয়েছে। জেলার ডোমকল রানিনগর, ইসলামপুর, জলঙ্গি, নবগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পাট চাষ হয়। তাই জুটমিলগুলিতে কাঁচা পণ্যের অভাব হবে না। চাষিরা উপকৃত হবেন। জেলার যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলাতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যুবক বিভিন্ন কাজের জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তাই এখানে দক্ষ শ্রমিক পেতেও উদ্যোগপতিদের সমস্যা হবে না।