রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ফের সুর চড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা নিয়ম মেনে চলছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। সমালোচনায় নয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় তিনি বিশ্বাস রাখেন বলে জানালেন রাজ্যপাল। রাজ্য়ের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলেই তিনি সরকারে হস্তক্ষেপ করেন বলে জানালেন জগদীপ ধনখড়।
পাহাড় থেকে রাজ্য সরকারকে নিশানা করে রাজ্যপাল বলেন, ''রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা যখন নিয়ম মেনে চলে না। তখনই আমি হস্তক্ষেপ করি। সরকারিতন্ত্রকে বন্ধ রাখলে প্রজাতন্ত্র কোথায় যাবে। প্রজাতন্ত্রের উপর কুঠারিঘাত করা হচ্ছে। সেই সময়। সরকারের উপর তাঁরা কব্জা করছে যাঁরা আইনকে মানেন না। তাঁদের বেআইনিকাজে সাহায্য করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি। তখনই আমি রাজ্য়ের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলি। আমার সঙ্গে সরকারি প্রতিনিধিরা আলোচনা করলেই, তাঁদের অন্যত্লর বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। যা রাজ্য শাসন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ নয়''। মন্তব্য রাজ্যপালের।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত অফিসে রাতভর মদ-মাংসের আসর, প্রধান সহ পঞ্চায়েতকর্মীরা ১৬ ঘণ্টা ঘেরাও
বিমল গুরুং প্রকাশ্য়ে আসতেই বদলেছে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ। এই অবস্থায় গোটা নভেম্বর জুড়ে দার্জিলঙের রাজভবনে রাজ্যপালের থাকা নিয়ে জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। এবিষয়ে জগদীপ ধনখড় বলেন, ''আমি চাই না পাহাড়ের শান্তির বাতাবরণে অহিংসা ভীত তৈরি হোক। গত দু দশক ধরে পাহাড়ের পরিস্থিতি বদলাইনি। আমি জিটিএ সচিব, জেলাশাসক ও পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করেছি। পাহাড়ের সৌন্দর্য, পর্যটন , চা শিল্প সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানকার মানুষ শান্তি চাই। সে কারণে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে উত্তরবঙ্গ পরিদর্শন করছি। রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান বের করার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় সরকারের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে। আমি আগেও উত্তরবঙ্গ এসেছিলাম। রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকেই দার্জিলিঙের রাজভবনে আসার আমার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সিএএ বিরোধী আন্দোলনের জেরে আমি সেসময় পাহাড়ে আসতে পারিনি''। বললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।