আঠাশ মাস ধরে বেতন বন্ধ। অবশেষে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবার সত্যাগ্রহের পথে হাঁটতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ জীবিকা সেবক ফেডারেশন। মঙ্গলবারই রানি রাসমণি রোডে সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করছে তারা।
২০০৯- ১০ সালে বাম সরকারের আমলে ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্রান্ট ফান্ড প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের মোট বারোটি জেলায় ১১৬৩ জন জীবিকা সেবক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হয়েছিল। বর্তমানে ৯২২জন এই পদে কাজ করছেন। তখন তাঁদের মাসিক বেতন ছিল চার হাজার টাকা করে। পরবর্তী সময়ে সেই বেতন বেড়ে হয় ৭৫০০ টাকা। পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে রাস্তা সংস্কার, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতার কাজের তদারকি করার মতো বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন এই জীবিকা সেবকরা। কিন্তু গত ২৮ মাস ধরে বেতন না পেয়েই তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সংগঠনের সচিব বিপ্লব রায়।
বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে দেখাও করেন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সাক্ষাৎ হয়েছে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। রাজ্যের তরফে তাঁদের জানানো হয়েছে, বিআরজিএফ প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ার ফলেই জীবিকা সেবকদের টাকা মেটানো যাচ্ছে না। সেই কারণেই এখন জীবিকা সেবকদের দাবি, বিআরজিএফ প্রকল্পের বদলে তাঁদেরকে জাতীয় কর্মসংস্থান প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হোক। যদিও বকেয়া টাকা বা বেতনবৃদ্ধি নিয়ে এখনই সরকারের উপরে চাপ দিতে চাইছেন না সংগঠনের নেতারা। রানি রাসমণি রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে নিজেদের দাবি পূরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি দেখা করে কথা বলার আবেদনও রাখা হবে রাজ্য সরকারের কাছে।
সংগঠনের সচিব বিপ্লব রায় বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে বেতন ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছি আমরা। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? আগে সরকার আমাদের নিয়মিত বেতন চালুর ব্যবস্থা করুন। তার পরে বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা যাবে।' বিপ্লববাবুর দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং পরে একাধিকবার রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলেও তা এখনও করা হয়নি।