ঝালদা খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্তে রিপোর্টে 'অসঙ্গতি', সিবিআইয়ের নজরে এবার বিডিও

ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের নজরে বিডিও।  পাশপাশি ঝালদাকাণ্ডের ময়নাতদন্তেও অসঙ্গতি ধরা পড়েছে সিবিআই-র নজরে।

Web Desk - ANB | Published : Apr 29, 2022 3:08 AM IST / Updated: Apr 29 2022, 08:44 AM IST

ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের নজরে বিডিও। এবার তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডের রহস্যের কিনারায় পৌঁছতে  বিডিওকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে ঝালদা ১ নং ব্লকের বিডিও রাজকুমার বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন তদন্তকারীর দল। পাশপাশি ঝালদাকাণ্ডের ময়নাতদন্তেও অসঙ্গতি ধরা পড়েছে সিবিআই-র নজরে।

নিহত তপন কান্দুর অভিন্ন হৃদয় বন্ধু ছিলেন নিরঞ্জন। সবসময়ে দুইজনে একসঙ্গেই থাকতেন। যেদিন ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রাজ্য সড়কে দুষ্কৃতিদের গুলিতে খুন হন, সেদিনও কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুের সঙ্গে ছিলেন  নিরঞ্জন। ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী তিনি। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে একেবারে সামনে থেকে খুন হতে দেখেন নিরঞ্জন বৈষ্ণব। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ ঝালদায় খুন হয়েছিলেন তপন কান্দু। সেই সঙ্গে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু নিরঞ্জন। এদিকে রহস্যজনকভাবে এর পরপরই রহস্যজনকভাবে বাড়ি থেকে তারই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পাওয়া যায় সুইসাইড নোটও।

আরও পড়ুন, প্রাক্তন গাড়ি চালক কৃষ্ণের গালে আবেগঘন চুম্বন চন্দনার, বিজেপি বিধায়কের বিতর্কিত প্রেম ফের ভাইরাল

আত্মীয়দের দেওয়া সুইসাইড নোট অনুযায়ী, কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণব লিখেছেন, 'যে দিন তপন কান্দু হত্যা হয়, সেদিন থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্য দেখেছি, তা কোনওভাবেই মাথা থেকে বের হচ্ছে না। ফলে ঘুম হচ্ছে না রাতে। শুধু ওই ঘটনাই মনে ভিতরে গোরাফেরা করছে । তারপর থেকে বাববার পুলিশের ডাক, আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি। এই সব আমি আর সহ্য করতে না পেরে এই পথ আমি বেছে নিলাম। এতে কারও কোনও প্ররোচনা, চাপ বা হাত নেই। আমি স্বেচ্ছায় আত্মত্যাগ করলাম।'

আরও পড়ুন, 'তীব্র গরমে ক্লাসে মাস্ক পরা খুব কষ্টের', স্কুল ছুটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন শিক্ষকরা

এদিকে এই ঘটনাই প্রভাব ফেলে ঝালদাকাণ্ডের তদন্তে। অর্থাৎ  নিরঞ্জন বৈষ্ণব এমন কিছু জানতেন, যা প্রকাশ্যে আসলে অনেকেই অসুবিধায় পড়তেন। সেই কারণেই কি এমন ঘটনা ঘটানো হল, আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে লুকিয়ে আছে, অন্য কোনও রহস্য, তা খুঁজে বার করতেই মূলত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, দেহ উদ্ধারের সময় ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে ছিলেন ঝালদা ১ নং ব্লকের বিডিও ওই রাজকুমার বিশ্বাস। তাই এবার তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে বিডিও।ইতিমধ্য়েই অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে ঝালদা ১ নং ব্লকের বিডিও রাজকুমার বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।

আরও পড়ুন, অপেক্ষা শেষ, আজ থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি

অপরদিকে ঝালদাকাণ্ডের ময়নাতদন্তেও অসঙ্গতি ধরা পড়েছে সিবিআই-র নজরে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে ডেকে রিপোর্টে প্রয়োজনীয় সংশোধন করিয়ে নিয়েছেন তদন্তকারীর দল। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর দাবি, যেদিক দিয়ে গুলি শরীরে ঢুকেছিল, আর যেদিক দিয়ে গুলি শরীর থেকে বেরিয়েছিল, ময়না তদন্তের রিপোর্টে তা উল্টো দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ টেকনিক্যাল ভাষায় যাকে বলে ইন এবং আউট , সেটা ভূল লেখা ছিল।

Share this article
click me!