সূত্রের খবর, আজ বিকেলেই বিধাননগর পুরভবনে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন জয়। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা অস্বীকার করেননি তিনি। যদিও আজ তিনি যোগ নাও দিতে পারেন।
একসময় তৃণমূলেরই কর্মী (TMC Worker) ছিলেন অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Joy Banerjee)। এরপর ২০১৪ সালে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন তিনি। কিন্তু, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) পর থেকেই একটু একটু করে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর। তারপর ৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করেন তিনি। তখন থেকেই অবশ্য তাঁর ফের ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ার জল্পনা বাড়ছিল। অবশেষে সেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ ফের তৃণমূলের (TMC) পথে হাঁটতে চলেছেন তিনি।
সূত্রের খবর, আজ বিকেলেই বিধাননগর পুরভবনে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর (Subrata Bakshi) সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন জয়। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা অস্বীকার করেননি তিনি। যদিও আজ তিনি যোগ নাও দিতে পারেন। গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনের (Goa Assembly Election) পরই তিনি যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে। আজ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। অনেক দিন ধরেই তিনি তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। অবশেষে দলনেত্রীর তরফে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন- টাকা নেই, আটকে পুরকর্মীদের পেনশন, ফিরহাদকে না জানিয়েই নোটিস পুরনিগমে
জয়ের বক্তব্য
তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিজেপি-র বাঙালি-বিরোধী অবস্থান দেখেই সরে এসেছি। একের পর এক বাঙালি-বিরোধী অবস্থান নিয়েই চলেছে বিজেপি সরকার। তার প্রতিবাদ করেই দল ছেড়ে এসেছি। আমি সুব্রত বক্সীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। বাংলার ভালো চায়, বাংলার সঙ্গে আত্মিক যোগ রয়েছে, এমন কোনও রাজনৈতিক দল আমাকে যোগদানের প্রস্তাব দিলে আমি অবশ্যই সেখানে যোগ দেব।"
আরও পড়ুন- কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে সম্মান, বালিগঞ্জে রাস্তার নামকরণ হবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নামে
তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ
২০০৯-১০ সাল থেকে তৃণমূলের মঞ্চে দেখা যেত জয়কে। কিন্তু, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি-তে যোগ দেন তিনি। বীরভূমে বিজেপি-র প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। তারপর বিজেপি-র জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্যও ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে জয় সিউড়ি বিধানসভায় বিজেপির তরফে তাঁকে প্রার্থীও করা হয়েছিল। অবশ্য জিততে পারেননি। এরপর ২০১৯ সালে উলুবেড়িয়া লোকসভা ভোটেও জয় পাননি।
আরও পড়ুন- 'জাতীয় ফুল পদ্মকে অবমাননা মদনের', রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করল BJP
বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। তারপর থেকেই তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল। দলের মধ্যে থেকেও গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না বলে দাবি করেছিলেন তিনি। অবশেষে ২০২১-এর ৬ নভেম্বর বিজেপি-র সঙ্গে সম্পর্ক পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেন। তারপর থেকেই ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা চলছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, সেই সময় দলনেত্রীর থেকে সবুজ সংকেত পাচ্ছিলেন না তিনি। অবশেষে সেই সবুজ সংকেত মিলে গিয়েছে। এখন তাঁর ঘরওয়াপসি শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।