ঐতিহ্যবাহী সত্য মেলা আজ বিলুপ্তির পথে, কী বলছে ঝালদা

  • ঝালদা শহরের শহিদ মেলা বা সত্য মেলা আর পাঁচটা মেলা থেকে আলাদা
  • কারণ এই মেলা ব্রিটিশদের গুলিতে শহিদদের উদ্দেশ্যে মেলা
  • যার নামে এই সত্য মেলা সেই সত্য কিঙ্কর দত্ত ঝালদা শহরে জন্ম গ্রহণ করেন
  • ঝালদায় তিনি একজন বিখ্যাত লাঠিয়াল ছিলেন
     

Asianet News Bangla | Published : Jan 23, 2020 12:49 PM IST

ঝালদা শহরের শহিদ মেলা বা সত্য মেলা আর পাঁচটা মেলা থেকে আলাদা।কারণ এই মেলা ব্রিটিশদের গুলিতে শহিদদের উদ্দেশ্যে মেলা। যার নামে এই সত্য মেলা সেই সত্য কিঙ্কর দত্ত ঝালদা শহরে জন্ম গ্রহণ করেন।তিনি একজন বিখ্যাত লাঠিয়াল ছিলেন।

কথিত আছে, ইংরেজদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ১৯২৮ সালে গোকুলনগর,চাতাম ঘুটু এর মাঝে এক পলাশ জঙ্গলে কালী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে এলাকার যুবকদের নিয়ে শুরু করেন লাঠি প্রশিক্ষণ। এই খবর  ইংরেজদের কাছে পৌঁছলে ১৯২৯ সালের ১০ই ডিসেম্বর ইংরেজদের ষড়যন্ত্রে এক আততায়ী বিষ মাখানো তলোয়ার দিয়ে সত্য কিঙ্কর দত্তকে পেছন থেকে আঘাত করলে তিনদিন পর মাত্র ২৩ বৎসর  বয়সে মারা যান সত্য কিঙ্কর দত্ত। তাঁরই স্মৃতিতে শুরু হয় সত্য মেলা।

১৯৩১ সালের ১৫ই জানুয়ারি তৎকালীন বিহার রাজ্যের অধীন ঝালদার গোকুল নগরে ব্রিটিশ সরকারের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে  স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নেতৃত্বে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন।বিনা অনুমতিতে মেলা চত্তরে ঢুকে পড়ায় ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে পাঁচ বিপ্লবী গোকুল মাহাতো,সহদেব মাহাতো,মোহন মাহাতো, গণেশ মাহাতো, ও শীতল মাহাতোর মৃত্যু হয়। 

সেই ঘটনাকে বলা হয় 'ফার্স্ট ফাইয়ারিং ইন বিহার' আখ্যা দেওয়া হয়। কারণ সেই সময় এই ঘটনায় ছিল বিহার রাজ্যের অধীন ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।  ঐতিহ্যবাহি সেই সত্য মেলায়  শহীদদের যেমন সন্মান জানানো হয়না সেরকম জানানো হয়না শহিদ পরিবারের সদস্যদের বলে ক্ষুব্দ পরিবারগুলি।

শহিদ পরিবার থেকে এলাকাবাসী সকলের একটাই দাবি।পুরুলিয়ার ঝালদার ইতিহাস প্রসিদ্ধ সত্য মেলাকে বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যোগ নকি রাজ্য সরকার। তাদের দাবি, ইতিহাসের পাতায় জায়গা হোক ঝালদার সত্য মেলার কাহিনী। তা না হলে আগামী প্রজন্ম জানতেই পারবে না, পুরুলিয়ার 'ফার্স্ট ফাইয়ারিং ইন বিহার' আদতে কি?

Share this article
click me!