মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় আবারও জেলার জয়জয়কার। প্রথম দশে থাকা মোট একান্নজন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে কলকাতার প্রতিনিধিত্ব হাতেগোণা। যদিও সামগ্রিকভাবে পাশের হারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। কেন মাধ্যমিকে কলকাতার স্কুলগুলির ছাত্রছাত্রীরা থাকছে না, তার কোনও ব্যাখ্যা অবশ্য দিতে নারাজ মধ্য শিক্ষা দফতর। পর্ষদ সভাপতির সাফ কথা,কলকাতার অনেক স্কুলই ভাল ফল করছে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা যেমন পরীক্ষা দেবে, সেই অনুযায়ী পর্ষদ নম্বর দেয়, সেখানে জেলার ছেলেমেয়েরা কলকাতার ছেলেমেয়েদের টেক্কা দিলে তাদের কিছু করণীয় নেই।
এবারের মাধ্যমিকে সাতশোর মধ্যে ৬৯৪ নম্বর পেয়ে প্রথমস্থান অধিকার করেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহম্মদপুর দেশপ্রাণ বিদ্য়াপীঠের সৌগত দাশ। দ্বিতীয় হয়েছে আলিপুরদুয়ারের শ্রেয়সী পাল এবং কোচবিহারের দেবস্মিতা সাহা, দুজনেই ৬৯১ নম্বর পেয়েছে। তৃতীয় হয়েছেন রায়গঞ্জের ক্য়ামেলিয়া রায় এবং নদিয়ার শান্তিপুরের ব্রতীন মণ্ডল, এদের দু'জনের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। শুধু প্রথম তিনটি স্থান নয়, চতুর্থ থেকে দশম স্থানের মধ্যেও কলকাতার ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা মাত্র এক।
কলকাতা থেকে মেধা তালিকায় দশ নম্বরে রয়েছে সোহম দাস। সে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্র। সোহমের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮১। সোহম-সহ মোট পনেরো জন ছাত্রছাত্রী দশ নম্বর স্থান দখল করেছে।
কিন্তু প্রথম দশে কেন জায়গা করে নিতে পারছে না কলকাতার কোনও ছাত্রছাত্রী? সাংবিদকদের এই প্রশ্নের উত্তরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি বলেন, "এটা আপনাদের কাছে ভাল গবেষণার বিষয় হতে পারে, আপনারাই গবেষণা করে দেখুন। কলকাতার অনেক স্কুলই ভাল ফল করেছে। কিন্তু জেলাপর কোনও ছাত্রছাত্রী যদি ভাল পরীক্ষা দেয়, তাকে কম নম্বর দিয়ে তো আর কলকাতার ছাত্রছাত্রীদের আমরা প্রথম দশে নিয়ে আসতে পারি না।" পর্ষদ সভাপতি আরও বলেন, "পিছিয়ে পড়া জেলা ছাত্রছাত্রীরা যদি মেধা তালিকায় বেশি করে জায়গা করে নিতে পারে, তার থেকে আনন্দের আর কিছু হয় না।"