যখন গোটা রাজ্যে ‘তিলোত্তমা’-র বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলছে, ঠিক তখনই কলকাতার রাস্তায় আক্রান্ত এক আন্দোলনকারী।
যখন গোটা রাজ্যে ‘তিলোত্তমা’-র বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলছে, ঠিক তখনই কলকাতার রাস্তায় আক্রান্ত এক আন্দোলনকারী।
জানা যাচ্ছে, বুধবার সকালে যাদবপুরের অন্তর্গত বিজয়গড়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম জয়দীপ মুখার্জি। তিনি বিজয়গড়ের বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এশিয়ানেট নিউজ বাংলার তরফ থেকে।
অন্যদিকে, তিনি এই ঘটনার কথা নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতেও তুলে ধরেন। জয়দীপবাবু অভিযোগ করেছেন, বুধবার সকালে পাড়ার রাস্তায় তিনি স্প্রে-পেইন্ট দিয়ে ‘We Demand Justice’ লিখছিলেন। হটাৎই সেখানে হাজির হন স্থানীয় বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে প্রায় প্রায় ৩০-৩৫ জন ছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন আক্রান্ত জয়দীপ মুখার্জি। তিনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে বলেন, “আমাকে ঐ লেখাটি ওনারা মুছে দিতে বলেন৷ কিন্তু আমি রাজি হইনি৷ আমি নিজের ফোনে ঐ লেখাটির ছবি তুলছিলাম। তখনই ওরা আসে।”
তাঁর কথায়, “যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও এই জঘন্য ঘটনার বিচার চাইছেন, তাহলে তাঁর অনুগামীদের সমস্যা কোথায়? বিচার তো আমরা সবাই চাইছি। আমি রাস্তায় তাই স্প্রে-পেইন্ট দিয়ে ‘We Demand Justice’ লিখছিলাম, সাথে একটি চোখ এঁকেছিলাম। সেই চোখ থেকে রক্তের ফোঁটা পড়ছিল। সেই লেখাটি শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমি ছবি তুলছিলাম। তখনই সেখানে উপস্থিত হন আমাদের এলাকার বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। যিনি মলয়দা নামেই পরিচিত। বিধায়ক এসে বলেন, লেখাটি তখনই মুছে ফেলতে হবে। আমি বলি, না। এই লেখা আমি মুছব না। আমি তাদের বলি যে, এমন কোনও লেখা লিখিনি যেটা মুছে ফেলার মতো। কারণ, আমরা সবাই জাস্টিস চাই।”
জয়দীপবাবু এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে আরও জানিয়েছেন, “তারপর তারা আমার উপর চড়াও হন। আমার ফোনটি কেড়ে নেন। আমার জামাকাপড়ও ছিঁড়ে দেওয়া হয় এবং মারধর করা হয়। এরপর আমাকে ওরা গালিগালাজ শুরু করে। শুধু আমাকে নয়, আমার দিদি, মা এবং স্ত্রীকে নিয়ে নানা কটূক্তি করতে থাকে। বাড়িতে এসে আমাকে এবং আমার পরিবারকে নানাভাবে দেখে নেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন। আমি রীতিমতো শঙ্কিত। আমাকে হেনস্থা করা হয়। আমার সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র ফেলে দেওয়া হয়। আমার চশমাও ভেঙে যায়”
জয়দীপবাবু বলছেন, কয়েকজন তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। পরে বয়স্ক মানুষদের কথা শুনে তিনি বাড়ি ফিরে যান। তিনি জানিয়েছেন, থানায় অভিযোগ জানাবেন এই বিষয়ে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।