বিতর্কের পাল্টা বক্তব্য রাখল ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ। মমতার এই মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের দুর্গাপুর শাখার সম্পাদক স্বামী আত্মস্থানন্দ।
শনিবার হুগলির গোঘাটে নির্বাচনী সভা থেকে একটি তীর ছুঁড়ে বিতর্ক বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় মমতা বলেন, ‘ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার তালিকায় অনেক দিন ধরে রয়েছে। তবে বহরমপুর একজন মহারাজ আছেন। আমি অনেকদিন ধরে শুনেছি… কার্ত্তিক মহারাজ। তিনি ওখানে বলেছেন, আমি তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেব না। যে লোকটা এই ধরণের কথা বলেন, আমি ওনাকে সাধু বলে মনে করি না। কারণ উনি ডাইরেক্ট পলিটিক্স করে দেশের সর্বনাশ করছেন। আমি চিহ্নিত করেছি, কে কী করছেন’।
এবার এই বিতর্কের পাল্টা বক্তব্য রাখল ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ। মমতার এই মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের দুর্গাপুর শাখার সম্পাদক স্বামী আত্মস্থানন্দ। তিনি বলেন, রামকৃষ্ণ মিশনও এটায় জড়িয়েছে। আমরা যা সিদ্ধান্ত নিই সেটা আমাদের মূল শাখা থেকে হয়। কোনও ব্রাঞ্চ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এটাই এখানকার নিয়ম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের কী ব্যাখ্যা করব। উনি আসলে একটা পাগলি! ওনার কথার কোনও ঠিক নেই! প্রধানমন্ত্রীকে উল্টোপাল্টা বলেন। একজন মুখ্যমন্ত্রীর যে কথা বলা উচিত উনি তা বলেন না। এটা মাথা খারাপ ছাড়া আর কী!
উল্লেখ্য, রবিবার রাজ্যে এসে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুরুলিয়ার সভায় দাঁড়িয়ে এই নিয়ে বার্তা দেন তিনি। মোদী বলেন, ‘তৃণমূল সরকার এবার সব সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। আজ ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ গোটা বিশ্বে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছে। কিন্তু আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসীদের প্রকাশ্যে ধমকাচ্ছেন। খোলা মঞ্চ থেকে তাঁদের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন’।
ইস্কন নিয়েও মন্তব্য করেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বলেন, ইস্কনেরও একটি মন্দির, মিশন রয়েছে। এমন একটা-দু’টো তো থাকবেই। দিল্লি থেকে সব নির্দেশ আসে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বলে। সাধু সন্তরা এমন কাজ কেন করবে? সবাই রামকৃষ্ণ মিশনকে শ্রদ্ধা করে। ওদের কাছে একটা হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। আমি তাঁদের ভালোবাসতে পারি, দীক্ষা নিতে পারি তবে রামকৃষ্ণ মিশন কোনোদিন ভোট দেয় না। একথা আমি জানি। তাহলে অন্যকে কেন আমি ভোট দিতে বলব?’
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।