২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয় আদালত। চাকরিহারা হয়েছিলেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। স্পেশাল বি.এড ডিগ্রি নিয়ে বিভিন্ন ডিপিএসসি-র অন্তর্গত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি হয় এদের। কিছু মাসের মধ্যেই প্রাইমারী বোর্ড যোগদানপত্র বাতিল করার নির্দেশ দেয়।
গত দু’বছর ধরে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বহু নিয়োগ বাতিল হয়েছে। গত ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণা করে। তাতে ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছিল আদালত। চাকরি হারা হয়েছিলেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। ইতিমধ্যেই এই রায়কে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে এসএসসি, রাজ্য সরকার ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
এর আগে জন আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে এই আট জন প্রাথমিক শিক্ষক এবং শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল হয়েছিল ২০২১ সালে। ২০১৪ টেট পাশ করে স্পেশাল বি.এড ডিগ্রি নিয়ে বিভিন্ন ডিপিএসসি-র অন্তর্গত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি হয় এদের। তবে তার কিছু মাসের মধ্যেই প্রাইমারী বোর্ড যোগদানপত্র বাতিল করার নির্দেশ দেয়।
দীর্ঘ শুনানি হয় বিচারপতি মান্থার একক বেঞ্চে। গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নিয়মাবলী ও বিভিন্ন রাজ্যের উচ্চ আদালতের নির্দেশের নিরিখে এবং কেন্দ্রীয় আইনের বিশ্লেষণের পর বোর্ডের নির্দেশে ডি পিএসসি-র দ্বারা খারিজ নিয়োগ নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সমস্ত কিছু বিবেচনা করে ওই ৮ চাকরিহারাকে পুনরায় কাজে ফেরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
জানা গিয়েছে এই আট জনই স্পেশাল বি.এড ডিগ্রিধারী। আর আদালতের নির্দেশে এই চাকরি ফেরার ঘটনার পর এবার তাদের অনেকের মনেই চাকরি ফিরে পাওয়া নিয়ে ফের আশা জাগছে। যেখানে দুর্নীতির অভিযোগে নিয়োগ বন্ধ, আদালতের রায়ে আজ চাকরিহারা বহু, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নতুন করে নিয়োগের নির্দেশে অন্তত স্বস্তি ফিরল কিছু জনের।
বলা হয়েছিল, স্পেশাল বি.এড ডিগ্রি প্রাথমিক শিক্ষাতে মান্যতা দেওয়া হবে না। তবে স্পেশ্যাল বি.এড এবং বি.এড জেনারেল ডিগ্রি সমতুল্য, এই দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিহীন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। দায়ের হয় মামলা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা উঠলে অবশেষে হয় সুরাহা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।