সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক মামলায় উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তা নিয়েও চর্চাও হয়েছে ব্যাপক। এবার যেমন রাজ্যের এক সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের দায়ের করা মামলায় বড় নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত।
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ধাক্কা খেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। বড়সড় নির্দেশ দেওয়া হল তাদের। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক মামলায় উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তা নিয়েও চর্চাও হয়েছে ব্যাপক। এবার যেমন রাজ্যের এক সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের দায়ের করা মামলায় বড় নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। বর্ধিত বেতন দিতে হবে, স্পষ্ট জানালেন বিচারপতি।
২০০৪ সালে ভবতরণ সরকার বিদ্যালয়ে নিযুক্ত হন হাড়োয়ার রথীন্দ্রনাথ সর্দার। ভুগোলের শিক্ষক হিসেবে ওই স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল স্নাতক। তবে চাকরি করতে করতেই স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা শুরু করেন রথীন্দ্রনাথবাবু। এর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের থেকে যথাযথ অনুমতিও নিয়েছিলেন তিনি।
জানা যাচ্ছে, সেই বছরই স্নাতকোত্তরের পরীক্ষায় বসেছিলেন ভবতরণ সরকার বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষক। পরীক্ষায় পাশও করেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, এরপর থেকে স্নাতকোত্তরের স্তরের বেতন পাওয়ার কথা রথীন্দ্রনাথবাবুর। কিন্তু তেমনটা হয়নি। স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি থাকলেও পুরনো শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন দেওয়া হত তাঁকে। এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
উচ্চ আদালতে রথীন্দ্রনাথবাবুর হয়ে মামলা লড়েছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বুধবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেদিনই ওই শিক্ষকের প্রাপ্য বর্ধিত বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই সম্বন্ধিত নির্দেশও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০ বছর আগেই পেয়েছেন ডিগ্রি। কিন্তু তা সত্ত্বেও নতুন শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্য বেতন পাননি উত্তর ২৪ পরগণার হাড়োয়ার শিক্ষক রথীন্দ্রনাথ সর্দার। পুরনো শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ীই বেতন পাচ্ছিলেন তিনি। এবার হাইকোর্টে মামলা উঠতেই বর্ধিত বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।