মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারিভাবে জন্মদিন ৫ জানুয়ারি, ১৯৫৫। অর্থাৎ, তাঁর বয়স ৭০ বছর। কিন্তু সেই বয়স নিয়ে নতুন জল্পনার সূত্রপাত করলেন মমতা নিজেই। মজার ছলে বলে দিলেন নিজের আসল বয়স!
ছাত্রছাত্রীদের সামনে মমতা বলেন, “আমরা তো সবাই হোম ডেলিভারি। আসল বয়সটা লুকিয়ে থাকে!” তিনি আরও যোগ করেন, “জন্মের সার্টিফিকেটে দেওয়া বয়সটা বাবা-মা করে দিয়েছেন। আমি জানতামও না। যখন কলেজে পড়ি তখন দাদা আমাকে একদিন বলল, তুই জানিস বাবা কীভাবে তোর বয়স দিয়েছে? সার্টিফিকেটে আমার আর তোর বয়সের মধ্যে মাত্র ৬ মাসের পার্থক্য!”
মমতা জানান, তাঁর বাবা স্কুলে গিয়ে বন্ধুকে বলেছিলেন একটি বয়স লিখে দিতে। সেই সময় বাড়িতে জন্ম নেওয়া শিশুদের সঠিক বয়স লিপিবদ্ধ করার বিষয়টি যথেষ্ট অবহেলিত ছিল। ফলে জন্ম সার্টিফিকেটে দেওয়া বয়স আর আসল বয়সের মধ্যে পার্থক্য থেকে যেত।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সবাই আমার জন্মদিন জন্মদিন করে, কিন্তু আমার এই জন্মদিন ভাল লাগে না। কারণ, আমরা তো নিজের নাম, পদবী, এমনকি বয়সও নিজে দিইনি। সবকিছু আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার মনে হয়, যেদিন পৃথিবী থেকে বিদায় নেব, সেদিনই আমার আসল জন্ম হবে।” এই উক্তি ছাত্রছাত্রীদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মমতা তাঁর ছোটবেলার সংগ্রামের গল্পও শেয়ার করেন। খুব অল্প বয়সে বাবাকে হারিয়ে সংসারের হাল ধরতে হয়েছিল তাঁকে।
তিনি বলেন, “বাবা মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্ট আর বাধা পেরিয়ে এই জায়গায় এসেছি। ছোট থেকেই নিজের জীবন নিজে তৈরি করতে হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতার দাদা। তাঁকে সকলের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, “আজ দাদা সামনে রয়েছে। তাই এই গল্প বললাম।”
ছোটবেলার ঘটনা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শেয়ার করে তিনি বলেন, “এমন স্মৃতিচারণ ছোটদের সামনে করা উচিত। এতে তাদের জীবন সম্পর্কে আরও উৎসাহিত হওয়া যায়।”
মজার ছলে মমতা বলেন, “আমার বয়স ৫ বছর বাড়ানো আছে!” অর্থাৎ তাঁর বয়স ৭০ বছর নয়! ৬৫ বছর।