শীতের হালকা পোশাক সঙ্গে মাথায় ছাতা। সারা দুপুর থেকে রাত বইল শিরশিরে হাওয়া। বেশ ঠান্ডার অনুভূতি পেল শহর থেকে জেলা। ডিসেম্বরে আচমকা বৃষ্টির ফলে এদিন কলকাতা সহ শহরতলির তাপমাত্রাতেও প্রভাব পড়ে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে ৮ ডিসেম্বরের পর থেকে পারদ পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে একেবারেই যে জাঁকিয়ে শীত পড়বে তেমনটা নয়। বরং ধাপে ধাপেই শহরবাসী শীত উপভোগ করতে পারবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
তবে পরবর্তী তিনদিনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার রাতের তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাবে। আর ওই সময় দিনের তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি বাড়বে। শুক্রবার থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যের কোনও জেলায় বৃষ্টি হবে না। শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা কমতে চলেছে। আগামী দু'দিনে দিনের তাপমাত্রা বা রাতের তাপমাত্রার তেমন হেরফের হবে না।
হাওয়া অফিস জানিয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শীতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ঘূর্ণিঝড়। সেরকমই ঘটে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর দিয়েছিল শীত গায়েবের রহস্যের হদিশ। হাওয়া অফিস জানায় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শীতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ঘূর্ণিঝড়।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, প্রতি বছরই এই সময়ে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। যার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প হয়। আর সেই জলীয় বাষ্পকে এই সময়ে বৃষ্টির আকার দিতে অনেকটাই সাহায্য করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এদিনের বৃষ্টির ক্ষেত্রেও সেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব রয়েছে বলেই জানান তিনি।
বুধবার সকাল থেকেই শহর থেকে শহরতলীর আকাশ ছিল মেঘলা। দু এক পশলা বৃষ্টিও হয়। কখনও ইলশেগুঁড়ি, কখনও ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে ভেজে তিলোত্তমা। সঙ্গে ছিল হাওয়ার দাপট।
ইতিমধ্যে অনেকটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। বর্তমানে উত্তর-পূর্ব তেলাঙ্গানা এবনং সংলগ্ন দক্ষিণ ছত্তিশগড় ও দক্ষিণ ওড়িশা-উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের উপর সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। আর তার প্রভাবেই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
ঘূর্ণিঝড়ের ফলে শীতের আমেজ থমকে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। সপ্তাহান্তে আবহাওয়ার বদল হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। শনিবার থেকে তাপমাত্রা নামতে পারে। শনিবার থেকে মঙ্গলবার এর মধ্যে তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি তাপমাত্রা নামতে পারে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।