নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে উপস্থিত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ১ মাসের রিমান্ড চাইছে ইডি।
নিয়োগ দুর্নীতি- মামলায় তদন্তের অগ্রগতি কী হয়েছে? এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বুধবার জানতে চাইল ব্যাঙ্কশাল আদালত। ভার্চুয়াল শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ট সহযোগি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে সিবিআই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া গয়েছে।
এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক এনফোর্সমেন্টের ডিরেক্টরেট অধিকারিকের কাছে জানতে চান কেন ইডি এক মাসের রিমান্ড চাইছে। কেন ১৪ বা ১৫ দিনের জন্য নয়? বিচরক বলেন কী আবারও কিসের তদন্ত হচ্ছে। পাল্টা সওয়ালে ইডির আইনজীবী বলেন, একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তার সমাধান সূত্র খোঁজা হচ্ছে। ইনভেস্টিগেশন এখনো শেষ হয়নি।প্রচুর মানুষকে টাকা ট্রান্সপার করা হয়েছে। বেনামে অনেক কোম্পনি খোলা হয়েছে। সেগুলি খুঁজে বার করতে হচ্ছে। আইনজীবী আরও বলেন, 'কেউ কি আর নিজে থেকে বলবে আমার এখানে টাকা রাখা আছে, যাও নিয়ে নাও। সবাই বেনামী টাকা রাখে। ' তিনি আরও বলেন এত টাকা কতলোকের মধ্যে বখরা হয়েছে, কতজন এই মামলায় জড়়িয়ে রয়েছে - তা খুঁজে বার করা হচ্ছে। ৪৮ কোটি টাকার সঙ্গে বেশ কিছু সম্পত্তিও যুক্ত রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে যে কেউ যুক্ত থাকতে পারে। ইডির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, একটি বেসরকারি আইন কলেজ ও ফার্মাসিস্টদের এনওসি পেয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় লাভবান হয়েছেন।
ইডি-র এক মাসের রিমান্ড চাওয়ায় বিচারক পাল্টা প্রশ্ন করেন এক মাসে এই কেসের কী কী উন্নতি হয়েছে? আইনজীবী জানান সিডিতে সব দেওয়া রয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পার্থ-মানিক যোগ রয়েছে বলেও দাবি করেন ইডির আইনজীবী। আইনজীবী বলেন পার্থ আর মানিক যোগসাজেশে এই আর্থিক তছরুপ হয়েছে বলেও সওয়াল করেন আইনজীবী।
অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর দাবি তদন্তে নতুন কোনও অগ্রগতি নেই। আদালতে যে কপি জমা দেওয়া হয়েছে তাতে নতুন কিছু নেই বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ১৩১ দিন হেফাজতে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি পার্থর জামিনেরও দাবি করেন তিনি। প্রায় একই দাবি করেন অর্পিতার আইনজীবী। তিনি জানতে চান কতবার তাঁর মক্কেলকে জেরা করা হয়েছে। তবে এর কোনও উত্তর দেয়নি ইডি। তবে ইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তাঁরা৩০ দিনের পাশাপাশি ৬০ দিনেরও হেফাজত চাইতে পারেন। তবে সবই ঠিক করবে আদালত।