অষ্টমীর দিন সাজো সাজো রব রাজবাড়িজুড়ে। এই নিয়ে ২৬৭ বছর ধরে হচ্ছে এই পুজো।
কলকাতার পুজো মানেই একদিকে যেমন একের পর এক চোখ ধাঁধাঁনো প্যান্ডেল, অন্যদিকে রয়েছে কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজোগুলো। কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজোগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো। প্রতি বছরই এই পুজো দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। এইবারও সেই একই ছবি দেখা গেল রাজবাড়িতে। অষ্টমীর দিন সাজো সাজো রব রাজবাড়িজুড়ে। এই নিয়ে ২৬৭ বছর ধরে হচ্ছে এই পুজো। অনেকের মতে রাজবাড়ির পুজোই কলকাতার প্রথম পুজো।
অষ্টমীর সকাল থেকেই চলছে সাবেকি আদলের পুজো। ষষ্ঠী ও সপ্তমী পেরিয়ে অষ্টমীর পুজো চলছে শোভাবাজার রাজবাড়িতে। অষ্টমীর পুজো ঘিরে সকাল থেকেই তুমুল ব্যস্ততা দেখা গেল রাজবাড়িতে। মহাস্নান থেকে চলল মায়ের আরতি।
কী কী বৈশিষ্ট
রাজবাড়ির পুজো অন্যান্য দুর্গাপুজার চাইতে কিছুটা হলেও আলাদা। নবঘট, নবপতাকা-সহ অষ্ট যোগীনীর পুজো। সবেতেই থাকে সাবেকি ছোঁয়া। এখানে মায়ের নয়টি রূপের জন্য নয়টি ঘটে পুজো করা হয়। বৈচিত্র রয়েছহে ভোগের ক্ষেত্রেও। ৬৪টি থালায় সাজিয়ে দেওয়া হয় নৈবেদ্য। বাঙালিবাড়ির মেয়ে উমাকে রাজবাড়িতে মিষ্টিভোগ দেওয়া হয়। এই রাজবাড়ির পুজোয় মিষ্টির কারিগরও বাঁধা থাকে। মেদিনীপুর থেকে এসেছেন মিষ্টির কারিগররা।
প্রসঙ্গত, লালবাজার কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যাচ্ছে, সপ্তমীর সন্ধ্যেতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল এভিনিউ থেকে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট। উত্তরে শোভাবাজার স্ট্রিট, টালা ব্রিজে ট্রাফিকের চাপ রয়েছে প্রবল। এছাড়া দক্ষিণে চেতলার পুজোর জন্য নিউ আলিপুর চত্বরে ট্রাফিকের চাপ রয়েছে। এছাড়া তিল ধারণের জায়গা নেই শহরের নামী মণ্ডপগুলোর আশেপাশে। জনতার ভিড় সামলাতে গিয়ে গতি কমছে যানবাহনেরও। এদিকে গড়িয়াহাট থেকে ভিআইপি রোড, নিউ আলিপুরের একাধিক রাস্তা, শিয়ালদা চত্বরে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত যান চলাচল।
কোন কোন রাস্তায় প্রবল ভিড়?
দক্ষিণে রুবির মোড় থেকে রাসবিহারীর রাস্তায় জনতার ভিড় সামলাতে রীতিমত নাজেহাল হতে হচ্ছে পুলিশকে। এই পথেই পড়ে শহরের অন্যতম নামী পুজো, বোসপুকুর শীতলা মন্দির, একডালিয়া, সিংহী পার্ক, হিন্দুস্তান পার্ক, ত্রিধারা সম্মিলনী। এদিকে আর একটু এগিয়ে গেলেই পড়ে সিংহী পার্ক, হিন্দুস্তান পার্ক। বিকেলের দিকে ট্রাফিকের চাপ তাও কম থাকলেও রাত বাড়তেই ভিড় বাড়ছে রাসবিহারী এভিনিউ, সেন্ট্রাল এভিনিউ, লেক টাউনের মতো রাস্তায়। পুজোর?