লটারি প্রতারণা মামলায় শুক্রবার কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি।কলকাতার লেক মার্কেটের পাশপাশি উত্তর ২৪ পরগনার মইকেল নগরে তল্লশি অভিযান শুরু করেছে ইডি।
লটারি প্রতারণা মামলায় জোরদার তল্লাশি কলকাতায়। শুক্রবার তল্লাশি অভিযানে এনফের্সমেন্ট ডিরেক্টরেট উদ্ধার করেছে কয়েক কোটি টাকা। এত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, যা গুণতে মেশিন আনতে হয়েছে। লেক মার্কেটের প্রিন্স গোলাম মহম্মদ রোডের একটি বহুতল আবাস থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর টাকা।
লটারি প্রতারণা মামলায় শুক্রবার কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি।কলকাতার লেক মার্কেটের পাশপাশি উত্তর ২৪ পরগনার মইকেল নগরে তল্লশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। অভিযোগ উঠেছিল লটারির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। আর এই প্রতারণায় প্রভাবশালী যোগ রয়েছে। সোমবারই লটারি প্রতারণা মামলায় দিল্লি থেকে ইডির একটি বিশেষ দল কলকাতায় এসেছে। সেই দলই তদন্ত চালচ্ছে।
মাইকেল নগরে লটারি ছাপাখানা ও গুদাম রয়েছে। সেখানেই তল্লাশি চালান হয়। সেখান থেকে কী কী পাওয়া যাচ্ছে তা এখনও জানাযায়নি। লেক মার্কেটের বহুতল আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর টাকা - তা জনিয়েছে ইডির একটি সূত্র।
২০২৩ সালে অক্টোবরে লটারি নিয়ে অভিযোগ সামনে আসে। তারপর থেকেই লটারি নিয়ে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই সময়ই উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে একটি লটারি সংস্থার ছাপাখানা এবং গুদামে তল্লাশি অভিযান চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সেই সময় আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল, প্রকৃত পুরস্কারপ্রাপকদের বঞ্চিত করে ওই সংস্থা পুরস্কারের কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছে। আর্থিক অনিয়মেরও অভিযোগ ওঠে। তার পরই এই তল্লাশি অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রতারণার জাল কত দূর বিস্তৃত, কারা কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত, তার তদন্ত হচ্ছে বলে ইডি সূত্রের খবর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।