কেমন দেখতে হয়েছে স্বপ্নভোর মেট্রো স্টেশন? পা রাখার আগেই দেখে নিন সেই ছবি
নিউ টাউনের বক্স ব্রিজ থেকে চিনার পার্ক পর্যন্ত ১০ কিলোমিটারে ৯টি স্টেশন হয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নভোটেল ও প্রাইড হোটেলের মাঝে যে স্টেশন রয়েছে, তার নাম স্বপ্নভোর। এই স্টেশন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। কেমন দেখতে লাগছে নতুন স্টেশন, দেখুন ছবি।
অরেঞ্জ লাইনের কবি সুভাষ-জয় হিন্দ (বিমানবন্দর) করিডোরে স্বপ্নভোর মেট্রো স্টেশনের নির্মাণ কাজ পুরোদমে চলছে। এই স্টেশনটি নভোটেল হোটেলের পাশে নিউটাউন এলাকার কাছে আসতে চলেছে।
একবার চালু হয়ে গেলে, এই স্টেশনটি আগামী দিনে হাজার হাজার যাত্রী, পর্যটক এবং অফিসগামীদের পরিষেবা দিতে চলেছে। কবি সুভাষ থেকে রুবি পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার অংশে রয়েছে কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া), সত্যজিৎ রায় (হাইল্যান্ড পার্ক), জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী (মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি), কবি সুকান্ত (অভিষিক্তা মোড়) ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি মোড়) স্টেশন।
স্বপ্নভোর স্টেশনের কংক্রিটিংয়ের কাজ শেষ। স্টেশনের ছাদের কভারিং সম্পূর্ণ। মেঝে গ্রানাইট দিয়ে আবৃত করা হয়েছে। স্বপ্নভোর মেট্রো স্টেশনে অত্যাধুনিক যাত্রী সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এই স্টেশনে ৮টি এসকেলেটর, ৪টি লিফট দেওয়া হবে। এগুলি ছাড়াও এখানে ৮টি সিঁড়িও পাওয়া যাবে।
স্বপ্নভোর স্টেশনে ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি প্রশস্ত প্ল্যাটফর্ম এবং টিকিট কাউন্টার, স্ব-টিকিট করার সুবিধার জন্য স্বয়ংক্রিয় স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিন (ASCRM) থাকবে। এ পর্যন্ত অংশকেই ফেজ়-ওয়ান হিসেবে বেছে রাখা রয়েছে।
বাকি বিভিন্ন স্টেশন তৈরির কাজও চলছে জোরকদমে। ২০২৬-এর মধ্যে কলকাতা মেট্রোর পাঁচটি রুট চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছে নির্মাণকারী সংস্থাগুলি। মহানগরে মেট্রোর নির্মীয়মাণ লাইনগুলির মধ্যে দীর্ঘতম হলো কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত অরেঞ্জ লাইন বা লাইন সিক্স।
পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড, যাত্রীদের সুবিধার্থে জরুরী আলোর ব্যবস্থা, অন্ধদের জন্য স্পর্শকাতর ফ্লোর ইন্ডিকেটরসহ আরও কিছু অতিরিক্ত সুবিধা থাকবে এখানে।