গত ১ এপ্রিল কলকাতা পুর এলাকালায় মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন গাড়ির পার্কিং ফি বাড়ানোর ঘোষণা করেছিল পুরসভা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিতর্ক।
পার্কিং ফি বিতর্কে নয়া মোড়। ছুটির দিনেই নির্দেশিকা প্রকাশ করল কলকাতা পুরসভা। শুক্রবার রাতেই বর্ধিত পার্কিং ফি নিয়ে নতুন ঘোষণা করা হল। শুক্রবার গুড ফ্রাই ডে-এর জন্য বন্ধ ছিল পুরসভা। এরইমধ্যে শুক্রবার রাতে ৯টা নাগাদ পার্কিং ফি প্রত্যাহারের নির্দেশ দিল কলকাতা পুরসভা। গত ১ এপ্রিল কলকাতা পুর এলাকালায় মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন গাড়ির পার্কিং ফি বাড়ানোর ঘোষণা করেছিল পুরসভা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিতর্ক। ফি বৃদ্ধির বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
হঠাৎ করে পার্কিং ফি এত বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তীব্র অসন্তুষ্ট শহরের ছোট-বড় সমস্ত ধরনের গাড়ির চালকরা। ঘণ্টা হিসেবে বাইকের পার্কিং ফি ৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে দশ টাকা করে। ৪ চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে দশ টাকার পার্কিং ফি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ টাকায়। ২ ঘণ্টা পর ২টি ক্ষেত্রেই দ্বিগুণ হারে বাড়বে পার্কিং ফি। অর্থাত্ গাড়ির ক্ষেত্রে ২০ টাকা হবে ৪০ টাকা। ৩ ঘণ্টা হলেই তা হয়ে যাবে ৮০ টাকা। এতদিন বাস, লরি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে ২০ টাকা দিতে হত। কিন্তু নতুন ফি কাঠামোয় দিতে হবে ৪০ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই বৃদ্ধি নিয়ে এবার দ্বিমত দেখা গেল শাসকদল তৃণমূলের অন্দরে।
শুক্রবার রাতে ফিরহাদ বলেন,'মুখ্যমন্ত্রী বললে পার্কিং ফি বাড়ানোর নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেব। তবে এটা সাংবাদিক বৈঠক ডেকে না বলে দলের ভিতরে বললেও হত।' তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘সিদ্ধান্ত যে স্তরে বা যাঁরাই নিয়ে থাকুন, সরকার বা দল অনুমোদন করে না। মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না, মুখ্যমন্ত্রীর নীতি আমজনতার ওপর যেন চাপ না বাড়ানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী মেয়রকে জানিয়ে দিয়েছেন, পুরসভা যেন এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে। মেয়রকে মুখ্যমন্ত্রী ও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বার্তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত আজকের মধ্যেই পুরসভাকে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে হবে যে পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে মানুষের ওপর যেন কোনও চাপ না পড়ে।’
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পার্কিং ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মোটেই সন্তুষ্ট হননি তা স্পষ্ট হয়ে গেছে কুণাল ঘোষের কথায়। সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল জানিয়েছেন যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ফি বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। এটা স্পষ্ট, যে, এই ফি বৃদ্ধি মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি বা অনুমোদন সাপেক্ষে হয়নি।