উত্তর কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়। কলকাতার অন্যতম প্রাচীন জনপদ শ্যামবাজার। এই অঞ্চল নিয়ে অনেক জনশ্রুতি আছে।
উত্তর কলকাতায় যেখানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি আছে, সেই শ্যামবাজারই কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মোড়। রাজনৈতিক আন্দোলন হোক বা রোজকার নানা প্রয়োজন, লক্ষ লক্ষ মানুষকে শ্যামবাজারে যেতে হয়। কিন্তু শ্যামবাজার নাম কোথা থেকে এল, সে কথা কখনও ভেবে দেখেছেন? সব অঞ্চলের নামকরণের পিছনেই নির্দিষ্ট কারণ ও ইতিহাস থাকে। শ্যামবাজার নামের পিছনেও নিশ্চয়ই কোনও কারণ ও ইতিহাস আছে। তবে ইতিহাস সবসময়ই তর্কসাক্ষেপ। একই ঘটনা নিয়ে নানা মত, দাবি থাকে। একইভাবে শ্যামবাজার নামের ইতিহাস নিয়েও নানা মত শোনা যায়। ইতিহাসবিদদের মধ্যে তর্ক চলে।
কেন শ্যামবাজার নাম?
উত্তর কলকাতা শহর হয়ে ওঠার অনেক আগেই শ্যামবাজার অঞ্চলে জনবসতির পত্তন হয়। শোনা যায়, শোভারাম বসাক নামে এক ব্যবসায়ী সেই সময় বিপুল ধনসম্পদের অধিকারী হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর নামেই শোভাবাজার অঞ্চলের নামকরণ। সেই শোভারামের বাড়ির আরাধ্য দেবতা শ্যাম রাইয়ের নামেই শ্যামবাজার ও শ্যামপুকুর। আবার শোনা যায়, জমিদার শ্যামচরণ মুখোপাধ্যায় বা পাট ব্যবসায়ী শ্যামাচরণ বল্লভের নামানুসারে শ্যামবাজারের নামকরণ হয়ে থাকতে পারে। শ্যামাচরণ মুখোপাধ্যায়ের মালিকানাধীন বাজার ছিল। সেটাই শ্যামবাজার হয়ে থাকতে পারে। শ্যামাচরণ বল্লভও জনস্বার্থে অনেক কাজ করেছিলেন।
গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল শ্যামবাজার
একদিকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ, অন্যদিকে বাগবাজার, শোভাবাজার, কুমোরটুলি। কাছেই হাতিবাগান বাজার। একটা পথ গিয়েছে শিয়ালদা স্টেশনের দিকে। আবার টালার দিকে গিয়েছে অন্য পথ। ধর্মতলার দিকেও গিয়েছে রাস্তা। সবমিলিয়ে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় সবসময়ই ব্যস্ত। বাস, ট্রাম, গাড়ি, টানা রিকশা সবসময় চলছে। উত্তর কলকাতার সব পথই শ্যামবাজারে মিশে গিয়েছে। এই অঞ্চল সবদিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে গোলাবাড়ির কষা মাংস, অন্যদিকে বিখ্যাত কচুরি, ফলের রস, রসগোল্লা, খাবারের শেষ নেই। জামাকাপড় থেকে শুরু করে নানা ধরনের জিনিসপত্র কেনার জন্য রোজই ভিড়। সবসময়ই লোকজনের আনাগোনা লেগে রয়েছে। এই শ্যামবাজার নিয়েই কত গল্প।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
সেরা শহরের তালিকায় বাঙালির প্রিয় শহর কলকাতা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা শুভেচ্ছা জনালেন শহরবাসীকে
কলকাতা পুরসভার কর্মচারীদের প্রতিবাদের হুঙ্কার! কালো বেলুন উড়িয়ে বার্তা