
আর.জি করে এভাবে হামলা কীকরে চালাতে পারল দুষ্কৃতীরা! পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও কীভাবে এত জনে হামলা চালাল, সর্বোপরি আর.জি কর হাসপাতালে ধর্ষ ও খুনের মত ঘটনার পর রাত দখলের রাতে কেন এত কম সংখ্যক পুলিশকে মোতায়েন করা হয়েছিল সেখানে? এই সব প্রশ্ন এখন ঘুরছে সব মহলে। তারই ছবি যেন শুক্রবার তুলে ধরল কলকাতা হাইকোর্ট।
মিডিয়াকে সফট টার্গেট পেয়ে দোষারোপ করেছিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। পালটা পাটকেলটি খেলেন কলকাতা হাইকোর্টের কাছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের পর্যবেক্ষণ, পুলিশের ইনটেলিজেন্স সম্পূর্ণ ব্যর্থ। নিজেদের পুলিশকে যারা রক্ষা করতে পারেনি, কীভাবে চিকিৎসকরা কাজ করতে পারবেন বলে আশা করা যায় সেখানে? আরজি করের হামলা নিয়ে একাধিক পিটিশন দাখিল হয়েছে হাইকোর্টে। তাই আলাদা করে অতিরিক্ত লিস্ট দেওয়া হয়েছে এই মামলার জন্য। এদিন শুনানি চলে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে।
প্রথম থেকেই আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। কেন পুলিশ ওই ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের না করে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করল তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন রয়েছে, তেমনই সন্দেহ রয়েছে আদৌ কি গ্রহণযোগ্য পুলিশের ভূমিকা এই মামলায়!
সবচেয়ে বড় বিষয় যেখানে ১৪৪ ধারা জারি করার দরকার ছিল, সেখানে কেন এত ঔদাসিন্য! একই প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। আদালত বলছে যদি ৭,০০০ লোক জমায়েতের কথা থাকে, তাহলে এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে রাজ্য পুলিশ কিছু জানত না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।